এশিয়ার সর্ববৃহৎ হোলসেল বাজার পোস্তা। এখান থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বাজারে প্রতিদিন অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী ট্রাক এবং ছোট ছোট ম্যাটাডোর করে খুচরো দোকানদারদের কাছে পৌঁছয়। প্রতিদিন ১০০০ ট্রাক পণ্য পরিবহনের এই কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকে।
পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে মাথায় হাত এমনই কমপক্ষে চারশোরও বেশি ট্রান্সপোর্টারের। তাঁরা বলছেন, আমরা চাইছি না পরিবহনের খরচ বাড়াতে। কিন্তু পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে গেছে যে পরিবহনের খরচ না বাড়ানো ছাড়া আর বিকল্প কোনও পথ নেই।
advertisement
অনেক ব্যবসায়ী বাড়তি ভাড়া দিতে রাজি নন। তাই ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা সচল রাখার ক্ষেত্রেও সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক ট্রাক স্রেফ দাঁড়িয়ে রয়েছে। ইন্স্যুরেন্সের খরচ বেড়েছে। টোল ট্যাক্সের খরচ বেড়েছে। টায়ার ও অন্যান্য যানবাহনের পার্টসের দামও অনেকটাই বেড়েছে। তাই এই অবস্থায় পুরনো ভাড়ায় জেলায় জেলায় অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী পৌঁছানোর কাজ আর করা যাচ্ছে না বলে জানালেন পরিবহন ব্যবসায়ীরা ।
প্রসঙ্গত, পেট্রোপণ্যের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধিতে ইতিমধ্যেই বাজার দর চড়া। এবার ট্রান্সপোর্টেশনের খরচ বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই বাজারদর আরও চড়া হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। রাজ্যের কিছু জেলায় পেট্রোলের দাম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে। তিলোত্তমা কলকাতাতেও সেই পথেই এগোচ্ছে। শহরে পেট্রোলের দাম একশো ছুঁতে মাত্র ১২ পয়সা বাকি। পিছিয়ে নেই ডিজেলও। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ বাড়ছে। কেন্দ্রের ভূমিকায় সরব বিরোধী দলগুলিও। ক্রমাগত জ্বালানীর দাম ঊর্দ্ধমুখী। সোমবারও দাম বাড়ল পেট্রোলের। এদিন ৩৯ পয়সা দাম বেড়ে শহর কলকাতায় দাম হয়েছে ৯৯.৮৮ টাকা। রবিবার যা ছিল ৯৯.৪৯ টাকা। তবে এদিন ডিজেলের দাম বাড়েনি।এই দাম বৃদ্ধি নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ।কোভিড পরিস্থিতি ও কড়া বিধি নিষেধের মধ্যে অনেকেই কাজ হারিয়েছেন কিংবা কমেছে রোজগার। ফলে একদিকে যেমন সমস্যায় পড়ছেন সাধারন মানুষ। তেমনি পণ্য পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদেরও উদ্বেগ বাড়ছে।