অফিসটাইম। আচমকা লিফট বন্ধ নবান্নে। নিরাপত্তায় তৈরি হয় বড় ফাঁক। বন্ধ হয়ে পড়ে রাজ্যের প্রশাসনিক ভবনের প্রবেশদ্বারের ইলেকট্রিক্যাল স্ক্যানার। সকাল ৯টা ৪৮ থেকে ৯টা ৫২ পর্যন্ত, চার মিনিট বন্ধ থাকে নবান্নের বিদ্যুৎ সংযোগ।
বিদ্যুৎ ফিরলেও, সিইএসসি-র বজবজ, টিটাগড় ও সার্দানের মতো ইউনিট বিকল হওয়ার খবর ততক্ষণে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু, তিন ইউনিট একসঙ্গে বিকল? কোনও অন্তর্ঘাত নেই তো? আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে রাজ্য প্রশাসনে। পরিস্থিতি আঁচ করে বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। জিজ্ঞাসা করেন,
advertisement
রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। সামনে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। এই সময় কেন এমন বিপর্যয়? সিইএসসি-র সঙ্গে কথা বলুন।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েই, প্রথমে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। আধিকারিকদের থেকে রিপোর্ট নিয়ে নবান্নে যান শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। নবান্নে আগে থেকেই বিদ্যুৎ দফতরের একটি বৈঠক নির্ধারিত ছিল। বৃহস্পতিবার সেই বৈঠকের মূল বিষয়বস্তুই হয়ে ওঠে সিইএসসি-র বিদ্যুৎ বিপর্যয়। নরিস্থিতি সামাল দিতে একাধিক নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ
- এমন সঙ্কটের সময় সিইএসসি-র সঙ্গে পুরোপুরি সাহায্য করবে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা
- সবরকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে
- রাজ্যের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের যেন কোনও অসুবিধা না হয়
বৃহস্পতিবার মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে এমন বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে আতঙ্ক ছড়ায়। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পরীক্ষাকেন্দ্রে যান খোদ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি।
পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গেছে। কিন্তু, বিপর্যয়ের পিছনে সত্যিই কি অন্তর্ঘাত রয়েছে? তার জন্য আলাদা করে তদন্ত শুরু করেছে সিইএসসি।