১)ডাক্তার নেই, ফি আছে! বিলের অঙ্কে গোঁজামিল ঢাকতে তৎপর হাসপাতাল
চিকিৎসক বাইরে। অথচ তাঁর নামে রোজ এক হাজার টাকার ভিজিটিং চার্জ! লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বিল। এখানেই শেষ নয়। রোগীর পরিবার হাসপাতালের বিলে সেই গোঁজামিল ধরে ফেলতেই বকেয়া টাকা এক নিমেষে মকুব। রোগীর মৃত্যুর পরে হাসপাতাল থেকে বলা হয়, টাকা মেটানোর দরকার নেই। দ্রুত মৃতদেহ নিয়ে যান। শুধু বিলটা হাসপাতালেই থাকবে। রোগীর আত্মীয়রা বলছেন, নিজেদের গাফিলতি ঢাকতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেহ ছেড়ে দেন টাকা না নিয়ে। বিলের গরমিল নিয়ে রোগীর পরিবার গোলমাল করতে পারে —এমন আশঙ্কায় পুলিশকেও আগাম জানিয়ে রাখেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরিজনদের দাবি, দেহ হাতে পাওয়ার আগে তাঁদের পাঠানো হয় থানায়। শনিবার মধ্যরাতের এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে তমলুকের বাসিন্দা আমির সোহেলের পরিবারের। বেসরকারি হাসপাতালে অনিয়ম খুঁজে পেলে তা বরদাস্ত করা হবে না বলে গত বুধবার হাসপাতাল কর্তাদের ডেকে হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনিয়মের সেই তালিকায় নয়া সংযোজন মল্লিকবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতাল।
advertisement
২) গুজরাত পুলিশের জালে দুই ‘আইএস’ ভাই
গুজরাতে বড়সড় নাশকতার ছক বানচাল করা গিয়েছে বলে দাবি করল সে রাজ্যের পুলিশ। রাজকোট ও ভবনগর থেকে ওয়াসিম রামোদিয়া এবং নইম রামোদিয়া নামে দুই ভাইকে আজ গ্রেফতার করেছে গুজরাত পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা (এটিএস)। তাদের দাবি, এই দুই ভাই আইএসের অনুগামী। আগামী দু’দিনের মধ্যে গুজরাতের বিভিন্ন ধর্মস্থানে হামলা চালানোর ছক কষছিল তারা। ইউরোপ, পশ্চিম এশিয়ায় বহু বার ‘লোন উল্ফ’ হামলা চালিয়েছে আইএসের অনুগামীরা। গুজরাত পুলিশের দাবি, সে ভাবেই হানা দিতে চেয়েছিল ওয়াসিম ও নইম। এই ধরনের হামলায় জঙ্গি সংগঠনের বড়সড় চক্র হাজির থাকার প্রয়োজন হয় না। দু’চার জন অনুগামী ইন্টারনেটের মাধ্যমে জঙ্গি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে হামলা চালায়। ফলে মূল সংগঠনের সঙ্গে যোগ খুঁজে বের করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। গোয়েন্দাদের মতে, সিরিয়া-ইরাকে ধাক্কা খাওয়ার পরে এই ধরনের হামলা আরও বাড়াতে চাইছে আইএস।
৩) শিক্ষককে ‘প্রহার’, গ্রেফতার ছাত্রের বাবা
একটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষককে খুনের চেষ্টার অভিযোগে রবিবার সকালে সল্টলেক থেকে এক ছাত্রের বাবাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম স্বপন বেজ।পুলিশ জানিয়েছে, এফ সি ব্লকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ান সুরজিৎ দাস। সেই ব্লকে নিজের বাড়িতেই তিনি ওই কোচিং সেন্টারটি চালান। সল্টলেকের একটি আবাসনের বাসিন্দা সরকারি কর্মচারী স্বপন বেজ সম্প্রতি তাঁর ছেলেকে ওই কোচিং সেন্টারে ভর্তি করান। পুলিশের দাবি, প্রহৃত শিক্ষক অভিযোগে জানিয়েছেন, স্বপনবাবু তাঁর ছেলেকে কোচিং সেন্টারে ভর্তি করানোর কিছু দিন পরে তাকে আর পড়াবেন না বলে জানিয়ে দেন সুরজিৎবাবু। শিক্ষকের দাবি, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার মতো পর্যাপ্ত মেধা নেই সেই ছাত্রের। এর পরেই স্বপনবাবু নিজের ছেলেকে ওই কোচিং সেন্টারে ভর্তির সময়ে যে টাকা জমা দিয়েছিলেন, তা ফেরত চান। অভিযোগ, যেহেতু দু’দিন ওই ছাত্রকে পড়ানো হয়েছে, তাই সেই হিসেবে সুরজিৎবাবু কিছু টাকা রেখে বাকি টাকা ফেরত দেন স্বপনবাবুকে। কিন্তু স্বপনবাবু পুরো টাকাটাই ফেরত চান। তাই নিয়ে শুরু হয় বচসা।
৪) বাইরে জল, ভিতরে আগুন, এই আমাদের মাহি
সাউথ ইস্টার্ন রেলে তখন গঙ্গোপাধ্যায় স্যার এক জন উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান খুঁজছেন। উনি সারা দেশের ক্রিকেটের খুব খোঁজ রাখতেন। নিশ্চয়ই উনি শুনেছিলেন রাঁচীর এই তরুণের কথা।
আমি তত দিনে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির প্রতিভার সন্ধান পেয়েই গিয়েছি। একসঙ্গে খেলেছি রাজ্য দলে। সিনেমার দৃশ্যটা মনে আছে তো? আমিই মোটরবাইক চালিয়ে গিয়েছিলাম মাহির বাড়িতে খবরটা দিতে। কোলফিল্ডে তখন খুব অল্প টাকার স্টাইপেন্ডে কাজ করত ও। রেলের ট্রায়ালে ডাক পাওয়া মানে ভাগ্য খুলে যাওয়ার মতো ব্যাপার।
মাহির কাছে সেরা আকর্ষণ ছিল আমার কালো রঙের মোটরবাইকটি। যেটা ফিল্মেও দেখানো হয়েছে। ‘এমএসডি আনটোল্ড স্টোরি’র যখন শ্যুটিং হচ্ছে, সুশান্ত সিংহ রাজপুত ওটা কিনতে চেয়েছিলেন। আমি দিইনি। বলে দিয়েছিলাম, এটা মাহির প্রিয় মোটরবাইক। অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। বিক্রি করব না।
১) অভিযোগের তির সেই হাসপাতালের দিকেই, ৫৮ দিনে ৩ বার অপারেশন, ৩৩ লক্ষ টাকা বিল সত্ত্বেও মৃত্যু ছাত্রীর
দুর্ঘটনার পর থেকে একবারের জন্যও জ্ঞান ফেরাতে পারেননি চিকিৎসকেরা। অথচ, ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে প্রায় ৫৮ দিন ভেন্টিলেশনে রেখে তিন তিনবার অপারেশন করা হয়েছে। তারপরেও দুর্ঘটনায় জখম দশম শ্রেণির ছাত্রী ঐশিকী চট্টোপাধ্যায় সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরতে পারেনি। আজ, সোমবার ঐশিকীর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। অথচ, ৫৮ দিনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিল হয়েছে, ৩২ লক্ষ ৯১ হাজার ৪০০ টাকা। ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় ছাত্রীর ফিজিওথেরাপির খরচ দেখানো হয়েছে ২৮ হাজার টাকা। কলকাতার ইএম বাইপাস লাগোয়া একটি কর্পোরেট হাসপাতালের এহেন ঘটনায় হতবাক মৃতার পরিবার থেকে জেলা ও রাজ্য প্রশাসনের কর্তারা।
২) ‘সর্বশক্তিমান’ মোদির ছায়ায় ঢাকা পড়ছে জোট সমীকরণ
কুয়াশা নেই। মালগাড়ি উলটে যায়নি। সিগন্যালিং খারাপ হয়নি। তাও আজকাল ট্রেন এত লেট কেন? ভোর সাড়ে ৬টার ট্রেন সাড়ে তিন ঘণ্টা পর ফৈজাবাদ জংশনে ঢোকার পর এসএইট কামরায় ওঠামাত্র দেখা গেল ভোরের আড়মোড়া ভাঙার আয়েশ তো দূরস্থান, কামরা জুড়ে অসন্তোষ। স্বাভাবিক। দিল্লি থেকে ছাড়া এই ট্রেন তো প্রায় গোটা উত্তরপ্রদেশই ঘুরতে ঘুরতে আসছে। এরপর আবার গোটা বিহারও ঘুরবে।
৩) গ্রেপ্তার ২ আইএস জঙ্গি, নাশকতা এড়াল গুজরাত
গুজরাতের বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে নাশকতার ছক বানচাল করে দিল ওই রাজ্যের সন্ত্রাসদমন শাখা। আইএস যোগে থাকা যে দুই চক্রীকে রবিবার রাজকোট এবং ভাবনগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের থেকে উদ্ধার হয়েছে বিস্ফোরক তৈরির বিপুল জিনিসপত্র। সন্ত্রাসদমন শাখার ডিপুটি সুপার কে কে প্যাটেলের দাবি, ‘এই দু’জনের গ্রেপ্তারিতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের মতো বড় নাশকতা এড়ানো গিয়েছে।’ দু’ বছর ধরেই গোয়েন্দাদের নজরে ছিল এই দু’জন। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলিতে আইএস সমর্থনকারীদের তালিকায় প্রথমের দিকেই ছিল এই দু’জন। সেই থেকেই গোয়েন্দাদের সন্দেহের তালিকায় ঢুকে পড়ে এরা। কিন্তু চূড়ান্ত খবরটা এসেছিল শনিবার। বিন্দুমাত্র সুযোগ না নিয়ে দু’টি দল গড়ে রাতেই রাজকোট এবং ভাবনগর রওনা দেয় সন্ত্রাসদমন শাখার সদস্যরা। খবর যে ভুল ছিল না, প্রমাণ মিলল রবিবার ভোরেই। রাজকোট থেকে ওয়াসিম রামোদিয়া এবং ভাবনগর থেকে নইম রামোদিয়া নামে এই দুই জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে গুজরাত এটিএস। সম্পর্কে এরা ভাই বলেই জানিয়েছে পুলিশ। তাদের থেকে যে সব জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়, তাতেই পরিষ্কার হয়ে যায় নাশকতার চক্রান্ত।
৪) ‘মন কি বাত’-এ ইসরোর প্রশংসা, শুভেচ্ছা বিজ্ঞানীদের, কালো টাকা ও দুর্নীতিতে রাশ টানতে পারে ডিজিটাল লেনদেন: প্রধানমন্ত্রী
কালো টাকার প্রবাহে রাশ টানতে পারে ডিজিটাল লেনদেন। দুর্নীতি ও ঘুষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। রবিবার একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ‘পরিচ্ছন্নতা’র এই অভিযানের অঙ্গ হিসাবে যুব সম্প্রদায়কে ‘দুর্নীতি বিরোধী ক্যাডার’ হওয়ার ডাক দিলেন। পাশাপাশি প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোকে। একযোগে ১০৪টি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে রেকর্ড গড়ার জন্য। প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছা জানালেন ইসরোর বিজ্ঞানীদের। সেইসঙ্গেই বললেন, দেশে আরও বিজ্ঞানীর প্রয়োজন রয়েছে। যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে বিজ্ঞানের প্রতি আকর্ষণ আরও বৃদ্ধি পাওয়া উচিত। মাসিক রেডিও অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’-এ এদিন কালো টাকা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ফের সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে যুব সম্প্রদায়ের প্রতি তাঁর আহ্বান, এই ‘আন্দোলনে’র নেতৃত্ব দিন। তাকে এগিয়ে নিয়ে যান।