১) অকেজো অস্ত্র, সুর চড়াচ্ছেন মোদী-অমিত, ভরসা মেরুকরণই
নোট বাতিল করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই। কিংবা ঢাকঢোল পিটিয়ে উন্নয়নের প্রচার। উত্তরপ্রদেশের ভোটের ময়দানে এ সব কোনও অস্ত্রই কাজ করছে না। সাফল্য খুঁজতে দিশেহারা নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ তাই ধর্মীয় মেরুকরণের জন্যই সুর চড়াচ্ছেন। ভোটের প্রচারে নেমে তাঁরা বারবার ধর্মীয় বিভাজনের কথা টেনে এনে মেরুকরণের জন্য সুর চড়িয়ে যাচ্ছেন। তবে বিজেপির রাজনীতি যাতে সফল না হয়, সে জন্য সংঘাতের রাস্তা এড়ানোর কৌশল নিয়েছেন অখিলেশ-রাহুল জোট।
advertisement
ধর্মীয় মেরুকরণের বিভেদ-রাজনীতিকে গত কালই সামনে নিয়ে এসেছিলেন মোদী। কিছুটা ঘুরিয়ে, মোড়ক দিয়ে। মোদী বলেন, ‘‘গ্রামে কবরস্থানের জায়গা করা হলে শ্মশানঘাটও বানানো উচিত।’’ অখিলেশ কেন উন্নয়নের কাজকে ধর্মের চশমা দিয়ে দেখেন— সে প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী। এখানেই শেষ নয়, তাঁর সেনাপতি বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বলেন, ‘‘অখিলেশের সরকারি পরিষেবা অ-হিন্দুরা পায়।’’ এমনকী অমিত টেনে আনেন গো-মাংসের রাজনীতির কথা। জানান, ‘‘ক্ষমতায় এলে বিজেপি রাজ্যের সমস্ত কসাইখানা বন্ধ করে দেবে।’’ লোকসভা ভোটে মেরুকরণের রাজনীতির মধ্য দিয়ে উত্তরপ্রদেশে ঝড় তুলেছিল বিজেপি। আর এ বার বিধানসভা ভোটের তিন দফা কেটে যাওয়ার পরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক থেকে নোট বাতিল কিংবা উন্নয়ন— কোনও অস্ত্রই যখন ঠিক ভাবে কাজ করছে না, তখন আবার সেই পুরনো পথেই ফিরে আসা।
২)অখিলেশের কথা ঘিরে বিতর্ক, ‘গাধা’র প্রচার ছাড়ুন, আর্জি অমিতাভকে
কেউ গাধা বললে রেগে ওঠার কিছু নেই। বরং যে বলছে তাকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। কারণ, গুজরাতের কচ্ছে থাকা বুনো গাধারা গাধাকুলের সম্মান বাড়িয়েছে। কচ্ছের বুনো গাধা অভয়ারণ্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে গুজরাতের সাফল্যের মস্ত বড় নজির। গুজরাত সরকারের বিজ্ঞাপনে এমনটাই বলে থাকেন অমিতাভ বচ্চন। নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যের ওই বিজ্ঞাপন নিয়ে কটাক্ষ করতে গিয়ে গুজরাতের গাধাকে উত্তরপ্রদেশ ভোটের ময়দানে টেনে আনলেন অখিলেশ যাদব। সেই সঙ্গে অমিতাভ বচ্চনকেও। ‘গুজরাতের গাধা’দের বিজ্ঞাপন না করার অনুরোধ করে। অনেকের মতে, অখিলেশ নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের দিকে আঙুল তুলেছেন। তবে এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে সমাজবাদী শিবির।
৩) আইপিএল-এ কোন দল কেমন হল?
দিল্লি ডেয়ার ডেভিলস
নতুন মুখ: অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস (২ কোটি), কোরে অ্যান্ডারসন (১ কোটি), কাগিসো রাবাদা (৫ কোটি), প্যাট কামিন্স (৪.৫০ কোটি), অঙ্কিত বাওনে (১০ লাখ), আদিত্য তারে (২৫ লাখ) মুরুগান অশ্বিন (১ কোটি), নভদীপ সাইনি (১০ লাখ), শশাঙ্ক সিংহ (১০ লাখ)
পুরনো মুখ: দুমিনি, মহম্মদ শামি, কুইন্টন দে কুক, শাহবাজ নাদিম, জয়ন্ত যাদব, অমিত মিশ্র, শ্রেয়াস আইয়ার, জাহির খান, স্যাম বিলিংস, সঞ্জু স্যামসন, ক্রিস মরিস, কার্লোস ব্রেথওয়েট, করুণ নায়ার, ঋশভ পন্থ, সিভি মিলিন্দ, সৈয়দ আহমেদ, প্রত্যুষ সিংহ।
মোট প্লেয়ার: ২৬
বিদেশির প্লেয়ার: ৯
টাকা বাকি: ৯.০৫ কোটি
এবং অন্যান্য
৪) ভারতের প্রবল চাপেই বন্দি হাফিজ: বিস্ফোরক দাবি জঙ্গি নেতার ভাইয়ের
আমেরিকার কথায় নয়, ভারতের চাপেই হাফিজ সইদকে গৃহবন্দি করেছে পাকিস্তান। মন্তব্য খোদ হাফিজ সইদের ভাই হাফিজ মাসুদের। একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছেই এই মন্তব্য করেছেন লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদের ভাই। কিন্তু হাফিজের বন্দিত্বে তাঁর সংগঠনের কার্যকলাপ থেমে যায়নি বলেও দাবি করেছেন মাসুদ। পাক সরকারের তত্ত্বাবধানেই জামাত-উদ-দাওয়া পাকিস্তানে কাজ চালাচ্ছে বলে ওই সন্ত্রাসবাদী নেতার দাবি।
হাফিজ মাসুদ ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে টেলিফোন কথোপকথনে বলেছেন, ‘‘আমার ভাই এখন গৃহবন্দি...। তাঁর উপর এখন কড়া নজরদারি রয়েছে এবং তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলে খুব দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে।’’ অকারণে হাফিজ সইদকে গৃহবন্দি করা হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে হাফিজ সইদের কোনও সম্পর্ক নেই বলে মাসুদ দাবি করেছেন। তাঁরা শুধু জামাত-উদ-দাওয়া সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, লস্করের সঙ্গে তাঁদের কারও যোগ নেই, মন্তব্য মাসুদের। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর সম্পর্কে মাসুদের মন্তব্য, ‘‘লস্কর একটি কাশ্মীরি সংগঠন, আমাদের সঙ্গে ওই সংগঠনের কোনও যোগ নেই। ওই সংগঠন স্থানীয় মানুষই তৈরি করেছেন এবং সংগঠনটি সেখানেই (কাশ্মীরে) কাজ করে।’’ জামাত-উদ-দাওয়া একটি মানবতাবাদী সংগঠন বলেও হাফিজ মাসুদ দাবি করেন। হাফিজ সইদের ভাইয়ের দাবি যা-ই হোক, জামাত-উদ-দাওয়া যে আসলে লস্করের সামাজিক মুখোশ, সে কথা এখন গোটা পৃথিবীই জানে।
১) শিশু পাচারকারীর যোগ দিল্লির আমলা মহলেও
জলপাইগুড়ি শিশুপাচারকাণ্ডে নাম জড়ানো বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরির সঙ্গে দিল্লির আমলা মহলের ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে। সিআইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, সরকারি স্তরে প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে জুহিদেবীর যোগাযোগ বাড়াতে সাহায্য করেছেন দিল্লির এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। যাঁর একাধিক ব্যাবসা রয়েছে। আমলা মহল ছাড়াও তাঁর বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রীদের সঙ্গেও ওঠাবসা রয়েছে বলে খবর।
২)‘ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’ রাজনীতি শেষ করে ছাড়ব
ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও রাজনীতি এ রাজ্য থেকে সমূলে উৎপাটন করার চ্যালেঞ্জ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে রাজ্য যুবকল্যাণ ও ক্রীড়াদপ্তর আয়োজিত কৃতী ক্রীড়াবিদদের সম্মাননা জ্ঞাপন এবং ক্রীড়া পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য আর্থিক অনুদান প্রদানের অনুষ্ঠান মঞ্চে এই চ্যালেঞ্জ নেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাকে দুর্বল ভাববেন না। ভেঙে দেওয়া আর গুঁড়িয়ে দেওয়ার ধারা শেষ করবই। এটা আমার চ্যালেঞ্জ, চ্যালেঞ্জ আর চ্যালেঞ্জ! মমতা বলেন, ক্ষোভ থাকতেই পারে, তা জানানোর জায়গাও আছে। কিন্তু কথায় কথায় জ্বালিয়ে দেওয়া, পুড়িয়ে দেওয়া এসব চলবে না!
৩) স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রে বেশি ভালো কাজ করছে ভারত, স্বীকার চীনেরই
উপগ্রহ উৎক্ষেপণ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে চীনের চেয়ে ভালো কাজ করছে ভারত। মন্তব্য করেছেন সাংহাই ইঞ্জিনিয়ারিং সেন্টারের অন্যতম ডিরেক্টর ঝ্যাং ইয়ংহে। তিনি বলেন, এই উৎক্ষেপণ ইঙ্গিত করছে যে, ভারত কম খরচে বাণিজ্যিকভাবে কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করতে পারে। অর্থাৎ, মহাকাশ বাণিজ্যের দৌড়ে ভারত যথেষ্ট সুবিধাজনক অবস্থায় থাকবে। তিনি বলেন, বিশ্বের এই ক্ষুদ্র উপগ্রহ জগতের প্রতিযোগিতায় টিঁকে থাকতে এবার চীনকে রকেট উৎক্ষেপণের বিষয়টিতে বাণিজ্যিকরণ করতে হবে।
৪) উত্তরপ্রদেশ নিয়ে উদ্বেগে মোদি বারবার কৌশল বদলে যাচ্ছেন
অবিকল পাশের রাজ্য বিহারের ফোটোকপি দেখা যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের ভোটপর্বে। বিহারে ভোট প্রচারের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুধুই উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, দারিদ্র দূরীকরণকে স্লোগান করে প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন। বক্সারের সমাবেশে হওয়া ভিড় দেখে তিনি ঘোষণা করেছিলেন ওই রেকর্ড জনসমাগমই প্রমাণ করে দিচ্ছে বিহারে বিজেপি জিততে চলেছে। আদতে তা হয়নি। বিহারে নীতীশ কুমার, লালুপ্রসাদ যাদবদের মহাজোট রেকর্ড ভোটে জয়ী হয়েছিল। এবার উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরের সভায় ভিড় দেখে প্রধানমন্ত্রী ঠিক সেই সুরেই বলেছেন, ওই ভিড়ই বলে দিচ্ছে কারা জিতবে। উত্তরপ্রদেশকে জাতপাত এবং অপরাধমুক্ত করার ডাক দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এবার শুরু থেকেই বিকাশই তাঁর লক্ষ্য বলে সভার পর সভায় প্রচার করেছেন। বিহারে প্রথম দু’দফার ভোটের পরই বিজেপি গতিক সুবিধার নয় আন্দাজ করেছিল। তাই তৃতীয় দফা থেকেই আচকমা প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপি আরএসএস ধর্মীয় ইস্যুকেই অ্যাজেন্ডা করে অবস্থান বদল করেছিলেন।