১) পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে চলল গুলি, অগ্নিগর্ভ ভাঙড়ে হত ২
গ্রামবাসীদের সম্মতি না-থাকলে ভাঙড়ে ‘পাওয়ার গ্রিড’ করা হবে না বলে সোমবারই ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু তাতেও শান্ত করা গেল না বিক্ষোভকারীদের। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে মঙ্গলবার রণক্ষেত্র হয়ে উঠল ভাঙড়। যার জেরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেলেন দুই গ্রামবাসী। পাল্টা মার খেল পুলিশও। তাদের প্রায় ৪০টি গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। আহত হয়েছেন ৩০ জন পুলিশকর্মী। তাঁদের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে প্রশাসনিক সূত্রে দাবি। এলাকায় প্রচুর পুলিশ, কমব্যাট ফোর্স ও র্যাফ মোতায়েন করা হলেও রাত পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পুলিশ জানিয়েছে, এলাকার বিভিন্ন জায়গার গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করে রেখেছেন বিক্ষোভকারীরা।
advertisement
২) ঘর গুছিয়ে এখন জোটে নজর টিপুর
সাইকেল গিয়েছে। দলের রাশও। ‘টিপু’র কাছে এখন শুধু একটা টিকিট চান কাকা শিবপাল যাদব। তাঁর ছেলে আদিত্যর জন্য। খুড়তুতো ভাইয়ের মুখ চেয়ে এটুকু কি করবেন টিপু? ঘনিষ্ঠ মহলে টিপু অর্থাৎ অখিলেশ যাদব জানিয়েছেন, তিনি ব্যাপারটা ভেবে দেখবেন। কথা দিতে পারেননি। নির্বাচন কমিশন গত কাল তাঁকে সাইকেল প্রতীকের অধিকারী ঘোষণা করার পর বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছেন অখিলেশ। আগামিকাল বা পরশু হয়তো জোট ঘোষণাও হয়ে যাবে।
৩) তুমি আমারও রোল মডেল, জাইরার সমর্থনে টুইট করলেন আমির
পর্দার মেয়ের হয়ে মুখ খুললেন বাবা। টুইটারে লিখলেন, ‘‘তুমি আমারও রোল মডেল।’’ ‘দঙ্গল’-এ কাশ্মীরি ষোড়শী জাইরা ওয়াসিমের বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন আমির খান। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘আমি জাইরার বিবৃতিটা পড়েছি। কোন পরিস্থিতিতে ও এ রকম লিখেছে সেটা বেশ বুঝতে পারছি, অনুভবও করছি। জাইরা, শুধু এইটুকুই বলতে চাই, আমরা সকলে তোমার পাশে আছি। তোমার মতো সাহসী মেয়ে শুধু দেশের নয়, গোটা বিশ্বের যুবসমাজের রোল মডেল। তুমি আমারও রোল মডেল।’’ মোদী সরকারের আমলে দেশ জুড়ে অসহিষ্ণুতার আবহ নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়ডু আজ সেই প্রসঙ্গ টেনে রীতিমতো খোঁচা দিয়ে বলেছেন, ‘‘অতি-লিবারেলরা এখন কোথায়? এখন তাঁরা চুপ কেন? জাইরার সঙ্গে যা হল, সেটা কি অসহিষ্ণুতা নয়?’’
৪) মিনার্ভা মঞ্চে মোহন-ঝড়
গোল করেই ড্যারেল ডাফি লম্বা দৌড় লাগালেন সেই দিকে, যেখান থেকে এসেছিল সনি নর্ডির ফ্রি-কিক। তাঁর পিছনে তখন ধাওয়া করছে পুরো বাগান ব্রিগেড। হাইতি স্ট্রাইকার যেন সেই মাহেন্দ্র মুহূর্তের অপেক্ষাতেই ছিলেন। সোনালি চুলের মিডিওকে ঘিরে শুরু হয়ে গেল গোল-উৎসব। অর্ধেক ভরা গ্যালারিতে তখন শব্দব্রহ্ম। গোলের সেই শুরু। তার পর শুধুই বাগান-ঝড়। এবং সেটা যখন থামল তখন মেঘমুক্ত সন্ধ্যার আকাশে চাঁদ জ্বলজ্বল করছে। সঞ্জয় সেনের টিমের মতোই। বেশ কয়েক বছর আগে ব্যা-ভা জুটিকে নিয়েও তো এ রকমই উন্মাদনা দেখা যেত সবুজ-মেরুনে।
১) জমি আন্দোলনে রণক্ষেত্র ভাঙড়
সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের যে জমি আন্দোলনের পিঠে ভর করে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিল, সেই চাষের জমি দখলকে কেন্দ্র করে তাদের দেখানো আন্দোলনই এবার ব্যুমেরাং হতে চলেছে শাসকদলের কাছে। চাষির কাছ থেকে জমি কেড়ে নেওয়ার ক্ষোভের আগুন মঙ্গলবার জ্বলে উঠল ভাঙড়ে। আন্দোলনের চাপে পাওয়ার গ্রিডের কাজ আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেও রাতভর পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল ভাঙড়। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে জমি আন্দোলন শাসকদলের লাগামের বাইরে চলে যেতেই পুলিশ সেখানে দমন-পীড়ন নীতি চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। আর তার জেরেই মঙ্গলবার সকাল থেকে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ প্রায় খণ্ডযুদ্ধের আকার নেয়। সংঘর্ষে পুলিশ ও জনতার মধ্যে ৩০ জন মতো জখম হয়েছেন।
২) জমি নেওয়া হবে না, ঘোষণা মমতার
দিনভর আগুনঝরা আন্দোলনের জেরে শেষপর্যন্ত পিছু হটল রাজ্য সরকার। ভাঙড়ে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের পাওয়ার গ্রিড নির্মাণ নিয়ে জমি আন্দোলনকারীদের রণংদেহী মূর্তির কাছে কার্যত নতিস্বীকার করতে বাধ্য হল প্রশাসন। মানুষ না চাইলে জোর করে জমি অধিগ্রহণ করা হবে না বলে জেলা প্রশাসনকে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়োজনে অন্য কোথাও পাওয়ার গ্রিড করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ভাঙড়ে জমি আন্দোলনের জেরে পুলিশ-গ্রামবাসী সংঘর্ষে গোটা এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেওয়ায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী।
৩)ফের অবরোধ বাসিন্দাদের, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, লাঠি, গ্যাস, জ্বলল ফাঁড়ি
ভাঙড়ের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই জেলার অন্য প্রান্ত বিষ্ণুপুরে বাখরাহাটে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধল স্থানীয়দের। সোমবার বিষ্ণুপুরের রসপুঞ্জে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় মা ও ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত গাড়ি চালককে গ্রেপ্তারের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে বাখরাহাট রোডের গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করেন স্থানীয়রা। সকাল থেকে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে অবরোধ তুলে দেওয়ার। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে বিকালের দিকে পুলিশ গায়ের জোরে অবরোধ চেষ্টা করলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বচসা তৈরি হয়।
৪) শিল্পে বিনিয়োগ রূপায়ণে গুজরাতকে টেক্কা বাংলার
এ রাজ্যে শিল্পে খরা চলছে, তা আর অজানা নয়। বড় বিনিয়োগ যে একপ্রকার ডুমুরের ফুল হয়ে গিয়েছে বাংলার মাটিতে, তা বলাই বাহুল্য। তবু হিসাব বলছে, গুজরাতকে টেক্কা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ! কত টাকা বিনিয়োগ প্রস্তাব রাজ্যে এল, তা দিয়েই যেখানে শিল্পের বহর বোঝানো দস্তুর, সেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রস্তাবিত বিনিয়োগের বাস্তব রূপ দেওয়ার ক্ষেত্রে গুজরাতের চেয়ে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। অর্থাৎ শিল্পের নেই-রাজ্যে যেটুকু বিনিয়োগ আসছে, তার সুফল বাস্তবের মাটিতে ফলছে। আগামী শুক্রবার রাজ্যে বসছে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট।