এখনি নিয়োগ শুরু না হলেও তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে কমিশন ৷ তিনটি বিভাগে একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার ফলপ্রকাশ করেছে কমিশন ৷ মূলত তথ্য যাচাই এর জন্য ডাকা হয়েছে,তথ্য যাচাই এর জন্য ডাকা হয়নি এবং প্রার্থীরা বাতিল- এই তিনভাগে ফলপ্রকাশ করেছে কমিশন ৷
1:1.4 অনুপাতে ডাকা হচ্ছে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ৷ অর্থাৎ ১০টি শূন্যপদের জন্য ১৪জন পরীক্ষার্থীকে ডাকা হবে ৷ তথ্য যাচাইয়ের জন্য ডাকা সব পরীক্ষার্থীদের ইন্টারভিউ সম্পূর্ণ হওয়ার পরও যদি শূন্যপদ থাকে তাহলে ‘তথ্য যাচাই এর জন্য ডাকা হয়নি’ বিভাগ থেকে পরীক্ষার্থীদের ডেকে পাঠানো হবে ৷
advertisement
এখানেই যোগ্যতামান সংক্রান্ত মাপকাঠিতে বাতিল হয়ে যেতে পারেন অনেক পরীক্ষার্থী ৷ কমিশন সূত্রে খবর, শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য থাকতে হবে নূন্যতম ৫০ শতাংশ নম্বর ৷ টেট পরীক্ষায় পাশ করলেও অনেকেরই নূন্যতম নম্বর না থাকায় নথি যাচাই পর্বে বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে আবেদনপত্র ৷
এছাড়াও মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক পদে যোগদানের প্রাথমিক যোগ্যতামানই হল বিএড বা তার সমতুল্য কোনও ডিগ্রি ৷ অনেক টেট উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী চাকরি পেতে অবৈধ উপায় অবলম্বন করছেন ৷ প্রশিক্ষণের জাল সার্টিফিকেট বানিয়ে তা নিয়ে হাজির হচ্ছেন কমিশনের কাছে ৷ কিন্তু যোগ্য প্রার্থীদের বেছে নিতে সাবধানী কমিশন সমস্ত নথি খুঁটিয়ে যাচাই করছেন ৷ তাতেই ধরা পড়ছে জালিয়াতি ৷
এসব কারণে প্রথম পর্যায়ে নাম চুড়ান্ত হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে অনেকে বাতিল হয়ে যাওয়ার ফলে ‘তথ্য যাচাই এর জন্য ডাকা হয়নি’ বিভাগ থেকেও পরীক্ষার্থীদের ডাক পাওয়ার আশা থাকছে ৷