এক্ষেত্রে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদনপত্রকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে যদি বুথ ভিত্তিক আবেদনপত্র দেওয়া হয়, তাহলে তার জন্য প্রয়োজনীয় প্রচার করার কথা বলা হয়েছে জেলা শাসকদের। নবান্ন সূত্রে এমনই খবর।
গত সোমবার থেকেই রাজ্য সরকার "দুয়ারে সরকার" ক্যাম্প শুরু করেছে। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের মধ্যে সবথেকে বেশি ভিড় হচ্ছে লক্ষীর ভাণ্ডার ক্যাম্পে। বুধবার পর্যন্ত দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আবেদনপত্র জমা পড়েছে ৪৬ লক্ষ। যার মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের নাম নথিভুক্তের জন্য ৩০ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে। গত তিনদিন দুয়ারে সরকারের একাধিক ক্যাম্পে হুড়োহুড়ি করে মানুষকে আসতে দেখা যায়। শুধু তাই নয়, বিশৃঙ্খলার ছবিও ধরা পড়েছে কয়েকটি ক্যাম্পে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক শেষে বলেন "বেশি ভিড় করে আসবেন না। যদি জমা না দিতে পারেন আবার জমা নেওয়ার ব্যবস্থা নেব। নতুন প্রকল্পে একটু ভিড় বেশি হবে সেটাই প্রত্যাশিত।"
advertisement
মূলত দুয়ারের সরকারের ক্যাম্পে এই প্রবল ভিড়ের কারণে এখন রাজ্য প্রশাসনের মাথা ব্যথার কারণ। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এত ভিড় ফের নতুন করে সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তার জন্যই এদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের নাম নথিভুক্ত করার জন্য তাড়াহুড়ো না করার পরামর্শ দেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রয়োজনে সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরে আরও তিন চারদিন ক্যাম্প চালানো হবে। অন্যদিকে মুখ্য সচিব এদিন দুয়ারে সরকার ক্যাম্প বাড়ানোর নির্দেশ দেন জেলা শাসকদের। এদিন সকালে মুখ্যসচিব জেলাশাসকের নির্দেশ পাঠান প্রয়োজনে ক্যাম্প বাড়াতে হবে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। তবে বুথ ভিত্তিক আবেদনপত্র গেলে ভিড় অনেকটাই এড়ানো যাবে বলেই মনে করছেন আধিকারিকরা। তবে সে ক্ষেত্রে সেটা চালু করতে খানিকটা সময় লেগে যাবে বলেই জেলা প্রশাসন গুলির আধিকারিকরা মনে করছেন।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়