কোনও ছাত্রছাত্রী ব্যাক্তিগতভাবে বা সংগঠনভাবে কোনও আদর্শ, মত বা রাজনৈতিক বিশ্বাসী হতেই পারে। কিন্তু কখনোই কোনও রাজনৈতিক দল বা দলের নেতারা সেখানে ঢুকতে পারে না। সেই জন্যই তো ছাত্রসংগঠন। না হলে তো কোনও রাজনৈতিক দল সরাসরি কোনও শিক্ষাঙ্গনে ঢুকে রাজনীতি করত। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী ও এসএফআইয়ের রাজ্যের সহ সম্পাদক শুভজিৎ সরকারের বক্তব্য, "প্রেসিডেন্সিকে দেশের মানুষ বাম রাজনীতির আতুর ঘর বলেই জানে। এসএফআই ছাড়াও আরও অনেক বামপন্থী এবং অন্যান্য প্রগতিশীল রাজনৈতিক সংগঠন, মঞ্চ দীর্ঘদিন ধরেই এই ক্যাম্পাস নিজেদের সংগঠনের কাজ করে চলেছে। আমরা এত বছর এই ক্যাম্পাসে এসএফআই করেছি এবং কিছুজন বৃহত্তর রাজনীতির স্বার্থে বাইরে বামপন্থী দল সিপিআইএম এর কর্মী হিসাবে কাজ করেছি। ব্রিগেডে গেছি বামফ্রন্টের, সিপিআইএমের। সব এসএফআই কর্মী সিপিআইএম করে বা তাদের করতে হয় এমনটাও নয়।''
advertisement
শুভজিৎ কথায়, ''বামপন্থী, প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন হিসাবে সারা দেশজুড়ে এসএফআইয়ের এর একটা দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। সারা দেশের সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের জন্য এসএফআই লড়াই করে, ইউনিয়ন পরিচালনা করে। আমরা কোনদিন বামপন্থী রাজনৈতিক দলের কোন কর্মসূচী বা তার পোস্টার ক্যাম্পাসে লাগাইনি। লাগানোর কথাও নয়। কারণ ছাত্র রাজনীতি আর মেইন স্ট্রিম রাজনীতির একটা যোগাযোগ থাকলেও দুটো অনেক আলাদা। কিন্তু সম্প্রতি দেখা গিয়েছে। এই রাজ্যের যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায়।''
আরও পড়ুন: ভাসবে উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলায় প্রবল বৃষ্টি! হাওয়া অফিসের বড় সতর্কতা
এসএফআইয়ের রাজ্যের সহ সম্পাদকের কথায়, ''যারা এত ছাত্র যুব আন্দোলনের কর্মীদের খুন করেছে, প্রেসিডেন্সি ভাঙচুর করেছে, যারা ভর্তির সময় তোলাবাজীর জন্য সারা রাজ্যে পরিচিত তারা তাদের কোন এক কর্মসূচির পোস্টার লাগিয়েছে ক্যাম্পাসে। তৃণমূল এই প্রেসিডেন্সির শত্রু এই নিয়ে কোন সন্দেহ নেই কারোর। এই ক্যাম্পাসের সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কাছে আহ্বান থাকবে তারা তাদের প্রগতিশীল রাজনীতির পরিচয় থেকে ওই পোস্টার খুলে দেবে। সাংবিধানিক পোস্টে থাকা কারোর ছবি লাগানো আজ অবধি প্রেসিডেন্সিতে হয়নি। টাকার লোভে আইসির কিছু নেতা এই কাজ করেছে বলে জানতে পারছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে।"