তৃণমূল কংগ্রেস সোমবার ২ জানুয়ারি নজরুল মঞ্চে একটি প্রচার কর্মসূচি ঘোষণা করবে। যেখানে রাজ্য সরকারের দেওয়া সামাজিক প্রকল্পগুলির বহুমুখী দিকগুলি দেখানো হবে। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক এবং রাজ্য মন্ত্রী সহ দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্য করে ভাষণ দেবেন। রাজ্য, জেলা ও ব্লক কমিটির আধিকারিকদের পাশাপাশি দলের মহিলা ও যুব ফ্রন্টের সদস্যরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
নজরুল মঞ্চে সোমবারের অনুষ্ঠানটি দলীয় কর্মীদের সম্মেলন হিসাবে ঘোষিত হলেও, এই দিনটি তৃণমূল কংগ্রেসের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর একেবারে পরেরদিনই করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালের জানুয়ারিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিজের আলাদা দল গঠন করেছিলেন। ২০২১ সালের বাংলার নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস 'দিদিকে বলো', 'বাংলার গর্ব মমতা' এবং 'বাংলা নিজের মেয়েকে চায়'-এর মতো প্রচার ইভেন্ট চালু করেছিল।
দলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা জাতীয় মুখপাত্র সুখেন্দু শেখর রায় জানিয়েছেন, "তৃণমূল কংগ্রেসের ২৫ বছর। এতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্যাগ, জনমুখী আন্দোলন জড়িয়ে আছে। দেশে এমন নজির নেই। ২০১৬ আগে পর্যন্ত আমরা আঞ্চলিক দল ছিলাম। স্বরাজ দল, বাংলা কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি সীমিত সাফল্য পেলেও, ধারাবাহিক দাগ কাটতে পারেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে সংগঠিত করেছেন। প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে তাঁর উপর। এর পর নানা গণ আন্দোলন তাঁর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম-নেতাই যার উদাহরণ। কৃষকদের অধিকার রক্ষা, শান্তি ফেরানো অনেক ঘটনা আছে।"
তিনি আরও বলেন, "২৫ বছরের ধারাবাহিকতা অনেক অনেক আছে। ২০০৯ থেকে ২০২২ লাগাতার সব ভোটে আমরা জিতেছি। বিপুল জয় হয়েছে। ২০২১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতাচ্যুত হচ্ছে এমন প্রচার চলেছিল। যদিও মানুষ আমাদের আশীর্বাদ দিলেন। এমন নজির কোথাও কিন্তু নেই। তৃণমূল কংগ্রেস নিজস্ব দল বাংলার। বাম-কংগ্রেস শূন্য পেয়েছে। বাংলার মানুষ বর্জন করেছে তাদের।"
আরও পড়ুন, শুরুতেই সুপারহিট বন্দে ভারত! বিক্রি হয়ে গেল প্রথম দু' দিনের সব টিকিট
আরও পড়ুন, মমতার মুখে হঠাৎ শোভন স্তূতি, নতুন বছরেই নতুন ইনিংস কাননের? ফের শুরু জল্পনা
সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, "আমরা আত্মসন্তুষ্টিতে ভুগছি না। বিজেপির দখল করতে না পারার হতাশা আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসকে দমিয়ে রাখা যাবে না। নতমস্তকে মানুষের কাছে যাব। দেশে বিজেপি কী কী সর্বনাশ করছে সেটা বোঝাব। এজেন্সির অপব্যবহার ও বকেয়া না পাওয়া প্রচারে যাব।"