সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা শাখার পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, আগামী ৩০ জানুয়ারি রাজ্যের সবক’টি সাংগঠনিক জেলায় মোট ৩৪টি সভার আয়োজন করা হবে। মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণ করে এই কর্মসূচি পালিত হবে। এই আয়োজনের মাধ্যমেই বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের নারীবিদ্বেষী অবস্থানের প্রতিবাদ জানানো হবে।
আরও পড়ুনঃ শীতের দিনে ছোট্ট একটা কাজ, মোমের মতো গলবে মেদ, গ্যাস-বদহজম দৌড়ে পালাবে চিরতরে
advertisement
এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করার সময় তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “আগামী ৩০ জানুয়ারি জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলা জুড়ে মোট ৩৪ সভা করা হবে। আমরা লক্ষ করেছি, বিজেপি নেতারা লাগাতার মহিলাদের অপমান করছেন, বিশেষ করে দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তাঁদের আচরণ অত্যন্ত অসম্মানজনক!”
আরও পড়ুনঃ এয়ারটেল-জিওর ধামাকা প্ল্যান! ৫৯৯ টাকায় ডেটা-কলিং পরিষেবা গোটা পরিবারের জন্য
মহিলা সংরক্ষণ বিলের প্রয়োগে অহেতুক বিলম্ব প্রসঙ্গে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘লোকসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল পাস করে আসলে ওরা মহিলাদের বোকা বানানোর চেষ্টা করছে। আমরা তাদের কাছে জানতে চাই, কবে সেই আইন প্রয়োগ করা হবে? ২০২৪ সালে, ২০২৯ সালে নাকি ২০৩৪ সালে? তারা হয়তো উত্তরও দিতে পারবে না। কারণ, এখনও পর্যন্ত জনগণনাই হয়নি। তাই নারী-পুরুষের অনুপাতও নির্ধারণ করা হয়নি। মহিলাদের জন্য কত বা কী কী আসন সংরক্ষণ করা হবে, তাও এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়নি।”
লোকসভা ভোটের ঠিক আগে কেন তড়িঘড়ি এই বিল পাস করা হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, মহিলা ভোটারদের বিভ্রান্ত করতেই কেবলমাত্র এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “মহিলারাই সমাজ সৃষ্টি করেন। তাঁদের বোকা বানানো এত সোজা নয়। তাই আমরা ওদের বলব, নারীদের এবং মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে অসম্মান করা এ বার বন্ধ হোক। ২০২১ সালে ওরা বাংলা দখল করতে চেয়েছিল। কিন্তু, তার বদলে ওদেরই বাক্সবন্দি করে দিল্লি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন তো দিল্লিতেও ওরা ঠিক মতো স্থান পাচ্ছে না।”
আবীর ঘোষাল