সাম্প্রতিক সময়ে, বিশেষ করে বিগত ১০ বছরে ভবানীপুর কেন্দ্রের ভোটের ফল যদি বিশ্লেষণ করা যায় তাহলে দেখা যাবে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচন ছাড়া, প্রতি ক্ষেত্রেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল এগিয়ে ছিল। ২০১১ সালের বিধানসভা ভোটে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন সুব্রত বক্সী। তিনি সেই বার জয়লাভ করেছিলেন ৪৯৯৩৬ ভোটে। ২০১১ সালে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয় লাভ করেন ৫৪২১৩ ভোটে।
advertisement
২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী তথাগত রায় এগিয়ে ছিলেন ১৮৫ ভোটে। তার দুই বছর পরে ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দোপাধ্যায় ভবানীপুর আসন থেকে জেতেন ২৫৩০১ ভোটে। ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী মালা রায় এগিয়ে ছিলেন ৩১৬৮ ভোটে। ২০২১ এর বিধানসভা ভোটে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জিতেছিলেন ২৮৭১৯ ভোটে।
আরও পড়ুন-মমতা-প্রিয়াঙ্কা মেগাফাইটে দুই দলেরই নজরে ৭০ আর ৭৪
চলতি বিধানসভা উপনির্বাচনে (Bhabanipur bypoll) অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেসের টার্গেট জয়ের মার্জিন বাড়িয়ে নেওয়া। আর সেই কারণেই কত সংখ্যক ভোট দান হচ্ছে সেদিকেই নজর শাসক দলের।সকাল থেকে অবশ্য ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরদের দেখা যাচ্ছে নিজের এলাকার বিভিন্ন বুথে৷ এমনকি কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম নিজেও বিভিন্ন জায়গায় দেখেছেন। প্রচার পর্বের শেষ এক সপ্তাহ জুড়ে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস বাড়ি বাড়ি বা ওয়ার্ড ভিত্তিক প্রচারের চেয়েও বেশি করে ভোটারদের ভোটমুখী করার প্রচার চালিয়েছিল। এমনকি খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজেও ভোটের প্রচারে গিয়ে ভোটারদের ভোট দিতে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর রতন মালাকার জানাচ্ছিলেন, "সকাল থেকে যে লাইন দেখা যাচ্ছে (Bhabanipur bypoll)। তাতে মানুষ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রমুখী হচ্ছে। এটা চলতে থাকলে মার্জিন বাড়বে আমাদের।" অন্যদিকে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ জানিয়েছেন, "মানুষ নিজে থেকেই ভোট দিতে বেরোচ্ছেন।" ফলে ভোটারদের বুথমুখী হওয়ায় খুশি দুই শিবির।