তৃণমূলের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার বরাবরই নিষ্ক্রিয় এবং প্রতিহিংসামূলক মনোভাব দেখিয়েছেন। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বাংলার ১০০ দিনের তহবিল বিতরণের বিষয়ে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রশ্ন করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে চেয়েছিলেন, কেন বাংলাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। “বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে ইচ্ছাকৃতভাবে বঞ্চিত করছে। ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০০ দিনের কাজের জন্য রাজ্যগুলির বকেয়া রয়েছে ১০,১৬২ কোটি টাকা। বাংলার ৫,৪৩৩ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে, অর্থাৎ রাজ্যগুলির কাছে বকেয়া মোট পাওনার ৫০%-এরও বেশি৷ নম্বরটা আপনার, আমার নয়৷”
advertisement
আরও পড়ুন- আজ রানাঘাটে মমতা-অভিষেকের পাল্টা সভা শুভেন্দুর, কী বার্তা দেবেন বিরোধী দলনেতা?
তৃণমূলের অভিযোগ, "শুভেন্দু মিথ্যা অভিযোগ করেছেন যে, বাংলার মানুষকে জাল জব কার্ড দিচ্ছে এবং তাদের মজুরি বাড়িয়েছে। কিন্তু বিজেপি নেতা অন্যান্য রাজ্যের তথ্য পরীক্ষা করতে ভুলে গিয়েছিলেন, বিশেষ করে তার দলের শাসিত রাজ্যগুলির।" ডঃ শশী পাঁজা অন্যান্য বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে অনুমোদিত জব কার্ডগুলিকেও সামনে এনেছিলেন। বাংলার মন্ত্রীর ট্যুইট অনুসারে, উত্তর প্রদেশে ৭৫ লক্ষেরও বেশি 'ডিলিটেড জব কার্ড' এবং ৮০ লক্ষেরও বেশি 'অপ্রমাণিত জব কার্ড' রয়েছে। মধ্যপ্রদেশে ৭৯ লক্ষ অননুমোদিত জব কার্ড, কর্ণাটকে ৫৯ লক্ষ এবং গুজরাটে ৩৫ লক্ষ এই ধরনের জব কার্ড রয়েছে - তিনটি রাজ্যই বিজেপি শাসিত।
ট্যুইটারে ডঃ শশী পাঁজা লিখেছেন, "শুভেন্দু, আমরা জিজ্ঞাসা করছি: 1. উত্তরপ্রদেশে ডিলিটেড জব কার্ডগুলি কি জাল ছিল? 2. অননুমোদিত জব কার্ডের ক্ষেত্রে প্রতিটি বিজেপি-শাসিত রাজ্য তালিকার শীর্ষে রয়েছে৷ তারা অননুমোদিত বলেই কি জাল? জোরে বলুন মিস্টার অধিকারী, অবশ্যই উত্তর দিতে হবে৷” সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও আক্রমণ করেছেন। তিনি টুইটারে লিখেছেন, “বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ অননুমোদিত জব কার্ডের ক্ষেত্রে এক নম্বরে রয়েছে। বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং গুজারাতে সর্বোচ্চ সংখ্যা রয়েছে৷ কেন জব কার্ড প্রমাণীকরণ ব্যর্থ হয়েছে? কেন তা মুছে ফেলা হয়েছিল? আমরা কি উপসংহারে আসতে পারি যে সেগুলি জাল ছিল?"
১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রের তহবিল না দেওয়ার বিষয়টি গত কয়েক মাস ধরে বাংলায় আলোচনা হচ্ছে। সরকারী তথ্য অনুসারে, ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০০ দিনের কাজের বকেয়া হিসাবে বাংলার কেন্দ্রের কাছে ৫,৪৩৩ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। উল্লেখ্য যে দু'বছর আগে, জাল জব কার্ডের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রদেশ আলোচনার বিষয় ছিল। দীপিকা পাড়ুকোনের মতো সেলিব্রিটিদের মধ্যপ্রদেশের খারগোন জেলার একটি গ্রামে অভিবাসী শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে দেখা গিয়েছে।