ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তরফে প্রতিটি জেলায় দলীয় সিদ্ধান্তের কপি পাঠানো হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরে না দাঁড়ালে, দলীয় প্রার্থীর হয়ে ভোট প্রচারে না নামলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জেলায় এই পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী ২২ তারিখ চার পুরনিগমের মেয়র হিসাবে শপথ গ্রহণ হতে পারে
advertisement
হুগলিতে ১২ পুরসভার একাধিক জায়গায় এই গোঁজ প্রার্থী রয়েছে। এর মধ্যে উত্তরপাড়া পুরসভায় ১২ জন, বৈদ্যবাটিতে ১৩ জন, ডানকুনিতে ৫ জন, আরামবাগ ৩ জন, চাঁপদানি ২ জন ও শ্রীরামপুর ১ জন। দলীয় সূত্রে খবর, দু'জন সরে দাঁড়াতে রাজি হয়েছেন।
অন্যদিকে উত্তর ২৪ পরগণায় একাধিক পুরসভা মিলিয়ে ৫৭ জনের নাম জানা যাচ্ছে। যারা গোঁজ প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়াই করছে। এর মধ্যে হাবড়া, বারাসত, অশোকনগরের মতো একাধিক পুরসভা আছে।
উত্তর ২৪ পরগণায় দলের অন্যতম কো-অর্ডিনেটর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, "দলের কড়া নির্দেশের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আশা করি যারা গোঁজ হয়ে দাঁড়িয়েছেন তারা দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন।"
আরও পড়ুন: 'চলতি সপ্তাহে আসুন', মমতাকে 'নরম' চিঠি, এবার কি সংঘাত মেটাতে চাইছেন ধনখড়?
সূত্রের খবর, উত্তর চব্বিশ পরগণায় ৫৭ জনের মধ্যে ২৮ জন গোঁজ দলের নির্দেশ মেনে নেবেন বলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই জানিয়ে দিয়েছেন।ইতিমধ্যেই একাধিক জেলায় বহিষ্কার শুরু করেছে গোঁজ প্রার্থীদের তৃণমূল কংগ্রেস৷ ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পুরুলিয়া মিলিয়ে ২৭ জন। বীরভূমে ৩ জন, নদীয়ায় ২৩ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "এখনও যাঁরা লড়াইয়ে আছেন তাদের বলব সরে দাঁড়ান৷ দলের মনোনীত প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নেমে পড়ুন। দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলুন।" প্রসঙ্গত আজ তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যদের বৈঠক।