ধূপগুড়ির জনসভায় যাওয়ার আগে দৌমহনির হাটে নামেন অভিষেক। কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। প্রায় কুড়ি থেকে পঁচিশ মিনিট সেখানে সময় কাটান। অভিষেককে কাছে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। তার প্রতিফলন দেখা গিয়েছিল ধূপগুড়ির মঞ্চে। অভিষেকের সাফ কথা, অনেক হয়েছে আর নয়। ব্যাঙ্ক ব্যালান্স দেখে নয়, মানুষের সার্টিফিকেট দেখে পঞ্চায়েতে প্রার্থী করা হবে। একইসঙ্গে তাঁর নির্দেশ ছিল একুশে জুলাই কলকাতায় যাওয়ার সময় আনতে হবে রিপোর্ট কার্ডও।
advertisement
আরও পড়ুননবান্ন অভিযানকে সামনে রেখে বিজেপির মেগা প্রচারের আজ শেষ দিন
সূত্রের খবর জেলা ভিত্তিক সেই রিপোর্ট কার্ড তৈরি হয়েছে। এক বছরের বেশি সময় হয়ে গেল বাংলায় প্রকাশিত হয়েছে ভোটের ফল। এই একবছরে কতজন তৃণমূল নেতা স্থানীয় ব্লকে গিয়েছেন, তার রিপোর্ট কলকাতায় দেখতে চেয়েছেন অভিষেক। কারণ, তিনি মনে করেন, দলীয় নেতাদের গাফিলতিতেই উত্তরের প্রায় প্রতি জেলায় ভাল ফল করেছে বিজেপি। কিন্তু বাস্তব বলছে সাধারণ মানুষের কাছে তৃণমূলের গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি। স্রেফ তৃণমূল নেতাদের জন্যই দল জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে বলেই ধূপগুড়ির সভায় দাবি করেছিলেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। হয় ঠিকাদারি করুন, না হলে তৃণমূল করুন।
পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার সভা থেকে এই বার্তাই দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই বার্তা বাংলার প্রতিটি তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের জন্য। যা এদিন ফের বুঝিয়ে দিলেন তিনি। ধূপগুড়ির মঞ্চ থেকে সাফ জানিয়েছিলেন, ঠিকাদারের কথায় পঞ্চায়েত চলবে না। পঞ্চায়েতের কথায় কাজ করবেন ঠিকাদাররা। রাজনৈতিক মহলের মতে, ধূপগুড়ির মঞ্চ থেকেই বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার শুরু করে দিয়েছিলেন অভিষেক।
তাই তিনি মনে করেন, কয়েকজনের মুখ দেখে আম জনতা তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে ছিল। যাঁদের চিহ্ণিত করা হয়েছে বলেও দাবি ছিল অভিষেকের। গণতন্ত্রে মানুষই গণদেবতা বলে মনে করেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। আর এই রায় মাথা পেতে মেনে নিতে হবে বলেও দলীয় নেতাদের সামনে শৃঙ্খলার লাইন টেনে ছিলেন তিনি।তাঁর দাবি, যতই প্ররোচনা হোক, বাংলা ভাগ তৃণমূল হতে দেবে না। তাই উত্তরবঙ্গের প্রতিটি তৃণমূল নেতাদের কাছে অভিষেকের অনুরোধ, আগামী ছয় মাসের মধ্যে জেলায় দলের ভিত মজবুত করতে হবে। প্রতিটি ব্লকে সবাইকে যেতে হবে। এবং মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে হবে।