মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া চলতি বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনে বিধানসভার নওশের আলি কক্ষে তাঁর দলের সব বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকের আগে তৃণমূল সুপ্রিমো গত চার বছরে দলের বিধায়কদের কাজের পর্যালোচনা করেছিল। আর সেখানেই উঠে আসে বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্য়ায়, হরিপালের বিধায়ক করবী মান্না, চাঁপদানির অরিন্দম গুইনের মতো মোট ১১৮ জন বিধায়কের নাম যাঁরা গত চার বছরে বিধানসভার কার্যবিধির কোনও পর্যায়ে প্রশ্নোত্তর পর্ব, মনোযোগ আকর্ষণ পর্ব বা কোনও প্রস্তাব বা বিল নিয়ে আলোচনায় অংশ গ্রহণ করে নি। এছাড়া নয়না বন্দোপাধ্যায়, ফিরদৌসি বেগম, স্বাতী খন্দকার, অদিতি মুন্সি সহ একাধিক বিধায়ক আছেন যাঁদের সে অর্থে সরব হতে দেখা যায়নি আলোচনায়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ IND vs BAN: গিলের দুরন্ত সেঞ্চুরি, ব্যাটে-বলে ভারতের আগুনে পারফরম্যান্সের সামনে ‘ঝলসে’ গেল বাংলাদেশ
মুখ্যমন্ত্রী পরিষদীয় দলের বৈঠকে নির্দেশ দেওয়ার পরেই অবশ্য শাসক দলের পরিষদীয় দল একাধিক নতুন মুখকে এবারে বাজেট বক্তৃতায় ও রাজ্যপালের জবাবী ভাষণে আলোচনায় নামায়। মুখ্যমন্ত্রী আবার প্রশংসা করেছেন অধিবেশন কক্ষ থেকে সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায়, মোশারফ হোসেন, জয়প্রকাশ টোপ্পোর। বাকিদের চেষ্টার কথা এবার আলোচনায় উঠে আসছে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের গলাতেও। পরিষদীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, “সবাইকে তার নিজের এলাকা নিয়ে বা বিভিন্ন বিষয়ে বলার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। যাদের যাদের মধ্যে অস্বস্তি কাজ করেছে তাদের বলা হয়েছে আলোচনায় অংশ নিতে। বিধানসভায় বক্তব্য রাখার জন্য সকলকে প্রস্তুত করা হচ্ছে।” ইদানীং তৃণমূলের একাধিক বিধায়কের আচরণ ও বক্তব্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে গত ১০ ফেব্রুয়ারি দলের জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিধায়কদের কর্তব্যপরায়ণতার পাঠ বৈঠকে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৫ সালের পুরো সময়ে জনসংযোগের ক্ষেত্রে বিধায়কদের কী কী করতে হবে, তারও নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।