আরও পড়ুন– টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যের সব জেলায়, সপ্তাহান্তে আরও বাড়বে বৃষ্টি
আজ, ৯ এপ্রিল বিকেল ৩টে থেকে কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত হবে এই মিছিল। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রত্যেক জেলা, ব্লক/ওয়ার্ড ও টাউনে ছাত্র যুবদের প্রতিবাদ মিছিল সংঘটিত হবে ১১ এপ্রিল শুক্রবার। ছাত্র ও যুব সংগঠন এই মিছিল করবে। আজ ৯ এপ্রিল বিকেল ৩টে থেকে কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা, চাকরি খাওয়ার প্রতিবাদে মিছিল ডাকা হল। ছাত্র ও যুব সংগঠন এই মিছিল করবে। বিরোধীরা যদিও প্রত্যাশিত ভাবে চাকরিহারাদের দুর্দশার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা, তাঁর সরকার এবং তাঁর দল তৃণমূলকেই দায়ী করেছেন।
advertisement
তাঁদের বক্তব্য, টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়া, ওএমআর শিট নষ্ট তাঁর সরকারই করেছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ‘‘কে যোগ্য, কে অযোগ্য, তা রাজ্য সরকার জানে।’’ মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর কটাক্ষপূর্ণ পরামর্শ, ‘‘আপনিই সেই তালিকা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান। আপনি তো আইনজীবী বলেন নিজেকে। তা হলে আপনিই যোগ্যদের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করুন।’’ মমতাকে বিঁধেছেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও। তাঁর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী এখন ‘সাধু’ সাজার চেষ্টা করছেন।
প্রসঙ্গত, নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘‘আদালতের রায়ে আমার হৃদয় পাথর হয়ে যাচ্ছে। আমি লাল-নীল-গেরুয়া কোনও রং দেখব না। তাতে আমাকে ওরা জেলে ভরলে ভরুক। আমরা সব সময় চাই, কোনও যোগ্য ব্যক্তির চাকরি যেন না-যায়।’’ যোগ্যদের কারও চাকরি কেড়ে নিতে দেবেন না, চ্যালেঞ্জ করে জানান মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘শিক্ষাব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়ার জন্য চক্রান্ত চলছে। আমি বেঁচে থাকতে যোগ্যদের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। এটা আমার চ্যালেঞ্জ।’’