আদিবাসীদের জন্য মমতা বন্দোপাধ্যায় কী কী করেছেন, সেই কাজ প্রচার হবে ঘরে ঘরে গিয়ে। সারি ধর্ম নিয়ে মমতার কাজ ও কেন্দ্রকে পাঠানো চিঠি দেখানো হবে। শীঘ্রই শুরু হবে এই সব রাজনৈতিক কর্মসূচি। এর আগে দেখা গিয়েছে ২০১৯-এর ২১ জুলাইয়ের সভায় উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহল থেকে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ভিড় তুলনামূলকভাবে কম ছিল। কারণ হিসাবে রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য ছিল, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ওই দুই এলাকাতেই ব্যাপক সাফল্য পেয়েছিল বিজেপি, একেবারে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তারই প্রভাব পড়েছিল তৃণমূলের শহিদ দিবসে। যদিও পরবর্তীতে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে অনেকটাই সাফল্যের মুখ দেখেছে ঘাসফুল শিবির। তুলনামূলকভাবে উত্তরের জেলাগুলি ধরে রাখতে পেরেছে বিজেপি।
advertisement
আদিবাসী সমর্থনে বিজেপির রাজনৈতিক কৌশলকে প্রতিরোধ করতে চায় তৃণমূল। এ বার শহিদ দিবসের প্রস্তুতি হিসেবে সব থেকে বড় সভা হয়েছে জলপাইগুড়িতে। তা ছাড়া রাজ্যের অন্যত্র বড় সমাবেশ সেভাবে হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে দীর্ঘ বক্তব্য রেখেছেন। তাছাড়া এই সময়ে পাহাড়ে তিন দিন প্রশাসনিক কাজে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফুচকা-মোমো বানিয়ে সরাসরি জনসংযোগও করেছেন মমতা। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে হারানো জমি পুনরুদ্ধার করাই তৃণমূল কংগ্রেসের বড় লক্ষ্য তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই রাজনৈতিক মহলের।
আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর শপথ অনুষ্ঠানে বাংলার ২৭ আদিবাসী শিল্পী
অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আদিবাসী মহিলা প্রার্থী দিয়ে এ রাজ্যে মূলবাসীদের ভোটে আরও বেশি থাবা বসাতে মরিয়া বিজেপি। তৃণমূলকে ‘আদিবাসী বিরোধী’ বলে পোস্টার ছেপে প্রচারও শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিধায়ক মোশারফ হোসেন জানিয়েছেন, ‘‘ প্রথমে মালদহ, দুই দিনাজপুরে আমরা সভা করব। রাজ্য সরকার আদিবাসী এলাকায় গত এগারো বছরে যা যা কাজ করেছে তার পরিসংখ্যান তুলে ধরা হবে। এমনকি বিজেপি ভুল বোঝাচ্ছে সেই বার্তাও দেব আমরা।’’
আরও পড়ুন : ‘আমরা ছেড়ে কথা বলব না', পার্থর বাড়িতে ইডি হানার পরই হুঁশিয়ারি চন্দ্রিমার
তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘আদিবাসীদের জন্য রাজ্য সরকার কাজ করছে। পরিবার ধরে ধরে কাজ হচ্ছে। বিজেপি মানুষকে ভুল বোঝাতে শুরু করেছে। বিজেপি আসলে আদিবাসীদের বন্ধু নয়। বাংলায় ঢালাও উন্নয়ন হয়েছে। মানুষ নিশ্চিত ভাবে বিজেপির রাজনৈতিক প্রচার বুঝতে পারবে।’’ অন্যদিকে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের রাজ্যে মমতা বন্দোপাধ্যায় আদিবাসী তাস খেলেন না৷ রাষ্ট্রপতি হিসাবে নাম ঘোষণার পরে দেখলেন তো ওঁর গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছল।’’