আগামী ২৬ মে বিজেপি বিরোধী সব দলগুলিকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি পদের জন্য প্রার্থীপদ নিয়ে ১০ নম্বর জনপথে আলোচনায় বসবেন সোনিয়া গান্ধি ৷ তৃণমূল সুপ্রিমো ছাড়াও বাকি বিরোধী দলও এই বৈঠকে যোগ দেবেন বলেই ইঙ্গিত ৷
এর আগে গত ১৬ মে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন রাহুল-সোনিয়া ৷ লক্ষ্য ২০১৯। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কাজে লাগিয়ে তারই প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে বিরোধরা। মঙ্গলবার ১০ জনপথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সোনিয়া গান্ধির বৈঠকেও গুরুত্ব পেল বিজেপি বিরোধী জোট গঠনের ইস্যুই।
advertisement
সোনিয়া-মমতার বৈঠক চলার মধ্যেই তাতে যোগ দেন রাহুল গান্ধি। জোটের ব্যাপারে বিভিন্ন দলের অবস্থান মমতার কাছে তুলে ধরেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি। দুই নেত্রীর বৈঠকে যে বিজেপি বিরোধী জোটের ইস্যুই প্রাধান্য পেয়েছে, তা স্পষ্ট হয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোর কথাতেই।
১৬ মে কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম ও আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। চিদাম্বরমের বাড়িতেও হানা দেয় সিবিআই গোয়েন্দারা। সোনিয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর এই প্রসঙ্গেই সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতে সিবিআইকে হাতিয়ার করার অভিযোগ তাঁর।
বিজেপি বিরোধিতায় পাশে থাকতে ২৭ অগস্ট লালুপ্রসাদের সভায় থাকার সিদ্ধান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজনৈতিক লড়াই করেই বিজেপির প্রতিহিংসার জবাব দেওয়ার বার্তা তৃণমূল সুপ্রিমোর।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, বিজেপি বিরোধিতায় মমতাকে পাশে পেতে মরিয়া সোনিয়া ও রাহুল। তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেও রাহুলকে দায়িত্ব দিয়েছেন সোনিয়া। ১৬ মে-এর বৈঠক সেই লক্ষ্যে ছিল প্রাথমিক পদক্ষেপ মাত্র।