এদিন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়, পরিসংখ্যান তুলে ধরে দাবি করেন, "রেলে সরকারি পরিষেবা বলে কিছু থাকবে না। তাঁর যুক্তি এই প্রকল্পের অধীনে ৪০০ রেল স্টেশন দেবে। ৯০ প্যাসেঞ্জার ট্রেন ছাড়াও, ১৪০০ কিমি ট্র্যাক, কোঙ্কন রেলওয়ে, টয় ট্রেন, চারটি পার্বত্য রেল, গুডস শেড ২৬৫টি, DFC ৬৭৩ কিমি, রেল কলোনি ও ১৫ স্টেডিয়াম দেওয়া হচ্ছে।"
advertisement
এই হিসেব তুলে ধরেই বিষোদগার করে সুখেন্দুশেখর বলেন, "সরকার দেউলিয়া হয়ে গেছে। অর্থনৈতিক অবস্থা বিপন্ন করে ফেলেছে। ভ্রান্ত নীতি দেশকে ধ্বংস করছে। এটার মধ্যেও নোট বন্দির কুপ্রভাব আছে৷ সরকার এখন ফর দি করপোরেট, বাই দি করপোরেট হয়ে গেছে। করপোরেট পলিসি তৈরি করছে। সরকারের বেসরকারিকরণ হয়ে গেছে। আমরা এই অর্থনৈতিক সংষ্কারের বিরুদ্ধে।"
এক পা এগিয়ে সুখেন্দুশেখর অভিযোগের সুরে আরও বলেন, "এসব বিক্রি করে দলের ফান্ড বাড়াচ্ছে। এই সব থেকে উৎকোচ যাচ্ছে দলের কাছেও।" এর পরেই তিনি জানান সরকারি সম্পত্তি বিক্রিকে সামনে রেখে আগামী দিনে বিরোধীরা একজোট হয়ে পথে নামতে পারে, কথাবার্তা শুরুও হয়ে গিয়েছে এই মর্মে।
প্রসঙ্গত কংগ্রেসের তরফে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের এই নীতির বিরোধিতা করা হয়েছে। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজওয়ালা বলেছেন, "এক সময়ে দেশের সম্পদ তৈরি হতো। আর আজ দেশ বিক্রির পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে। মোদি সরকার থাকলে সবই হতে পারে। বিজেপি থাকলে সরকারি ও সম্পত্তি রক্ষা পাবে না।"