তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, "দলের তরফে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই ব্যাপারে৷ জনপ্রতিনিধি হিসাবে আপনার সাথে দেখা করতে অনেক মানুষ আসবে। তাদের সুবিধা-অসুবিধা দেখা অবশ্যই আপনার কাজ। কিন্তু প্রশাসনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। তাদের কাজের ব্যাপারে নাক গলানো যাবে না। অবশ্যই দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন। কিন্তু পাইয়ে দেওয়ার কাজ করা যাবে না। প্রশাসনের বেশ কিছু নিয়ম কানুন আছে। সেই নিয়ম মেনেই তারা এগোচ্ছে। সমীক্ষা করছেন তারা৷ ফলে তাদের কাজে বাধা দেওয়া। তাদের সমস্যায় ফেলা যাবে না। প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত।"
advertisement
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে বড় অভিযান, শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ শ্যামল আদক গ্রেফতার! তোলপাড় বাংলা
প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা নিয়ে ইতিমধ্যেই কড়া অবস্থান নিয়েছে রাজ্য। গ্রামীন আবাস যোজনার অধীনে প্রাপকদের তালিকায় সমীক্ষা করতে গিয়ে কোনওরকম বাধা সৃষ্টি করা যাবে না। এবিষয়ে জেলাশাসকদের নিয়ে বিশেষ ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন মুখ্য সচিব। সেই বৈঠকেই এই নির্দেশ দেন বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। পাশাপাশি কেউ যদি বাধা সৃষ্টি করে, তাহলে চরম পদক্ষেপ করা হবে বলে জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মুখ্য সচিবের তরফে ৷ এমনটাই নবান্ন সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: রাম-বামে 'মহাজোট'? কড়া মার্কিংয়ের নির্দেশ আলিমুদ্দিনের! সিঁদুরে মেঘ দেখছে CPIM
প্রসঙ্গত আবাস যোজনার অধীনে বাড়ি প্রাপকদের তালিকা যাচাই করতে গিয়ে একাধিক জায়গায় আশা কর্মীরা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন বলেই অভিযোগ। মনে করা হচ্ছে মুখ্য সচিব এদিনের নির্দেশের মাধ্যমে স্পষ্ট করে দিয়েছেন কোনও রকম রাজনৈতিক চাপও এক্ষেত্রে কাজ করবে না।যদিও তালিকা যাচাই করা নিয়ে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। আবাস প্লাস তথ্য ভান্ডারে নথিভুক্তদের নাম নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাচাই করে উপভোক্তাদের তালিকা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে আশাকর্মী,অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, প্রাণী বন্ধু, ভিলেজ পুলিশ ও স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মীদের নিয়ে দল গঠন করতে বলা হয়েছে।
প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে পাঁচ থেকে দশটি দল করা হয়েছে। শনিবারই তাদের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। রবিবার থেকে কাজ শুরুর কথা। মূলত ‘আবাস প্লাস’ পোর্টালে নথিভুক্ত নাম থেকে উপভোক্তাদের তালিকা তৈরির জন্য সমীক্ষা চালাবে। তাদের কাজই হবে নথিভুক্ত নামের ক’জন আইন মাফিক এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য। এটাই প্রাথমিক রিপোর্ট হিসেবে গণ্য হবে।
অশান্তি আভাস পাওয়া মাত্রই রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিব পি উল্গানাথন জেলাশাসকদের গত সোমবারই জানিয়ে দিয়েছেন, গ্রাম পঞ্চায়েতে উপভোক্তাদের নাম বাড়ি বাড়ি গিয়ে শুধুমাত্র যাচাই করবে এই দল। তারা নতুন কোনও সংযুক্ত করতে বা কারও নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে পারবে না। এব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। দেখতে হবে প্রকৃত ব্যক্তি যেন এর সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হন। মূল্যায়ন করবে জেলা প্রশাসন। এক্ষেত্রে গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লক কমিটিরও বিশেষ ভূমিকা থাকবে না। এই কাজ তদরকির জন্য রাজ্য স্তরের সিনিয়র আধিকারিকদের পাঠানো হচ্ছে।