মঙ্গলবার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন বলেছেন যে নোটবন্দির পদক্ষেপটি একটি 'গিমিক যা একটি অর্থনৈতিক গণহত্যায় পরিণত হয়েছিল।' তিনি ট্যুইট করে বলেছেন যে, “@MamataOfficial called it first ‘withdraw this draconian decision’ minutes after announcement. Others agreed, but only weeks later,”
advertisement
অন্যান্য বেশ কিছু সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা মোদি সরকারের কাছ থেকে এই পদক্ষেপের জন্য জন্য জবাবদিহি করেছেন। কারণ এই পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে সমালোচিত হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের শিল্প এবং বাণিজ্য মন্ত্রি শশী পাঁজা বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর নোটবন্দি ঘোষণার পর থেকে ছ' বছর হয়ে গেল, কিন্তু কী ফলাফল আমরা পেলাম? এটা আরেকটি মিথ্যে তা প্রমাণিত হয়েছে। সেই মিথ্যা প্রতিশ্রুতির আরেকটি এটি... ৩-৪ লাখ কোটি টাকার কালো টাকা বাজেয়াপ্ত করার কথা ছিল। কিন্তু কী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে? আমরা জানি না।”
আরও পড়ুন : লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজর দাম! চোখে ঝাঁঝ মধ্যবিত্তের! কবে কমবে দাম? জানুন সব...
যদিও প্রধানমন্ত্রী মোদি দাবি করেছিলেন যে এই পদক্ষেপটি জাল নোটের সমস্যা সমাধান করবে, কিন্তু ডঃ শশী পাঁজা দেখিয়েছিলেন কীভাবে এটি মিথ্যে ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না। তিনি কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের চরম সমালোচনা করে বলেছেন, “আমরা এখন জানি ৫০০ টাকার জাল নোটের প্রায় ১০১% পাওয়া গিয়েছে। ২,০০০ টাকার জাল নোট, যা নোটবন্দির পরে চালু হয়েছিল, তা ৫৪.১৬% জাল হয়েছে। যতদূর নগদহীন অর্থনীতির দাবি, ৩০ লক্ষ কোটি টাকা এখনও জনসাধারণের কাছে নগদ মুদ্রা হিসাবে রয়েছে।”
এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করে তিনি বলেন, "বেকারত্ব বেড়েছে, জীবিকা নেই এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ধাবিত হয়েছে।” প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্ব) নগর উন্নয়ন ও পৌর বিষয়ক মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, "নোটবন্দির ঘোষণার ছয় বছর কেটে গিয়েছে। কত কালো টাকা উদ্ধার হয়েছে তা কি প্রধানমন্ত্রী বলবেন? বা এই প্রক্রিয়ায় মানুষ কীভাবে তাদের জীবিকা হারাল? আমরা এই পদক্ষেপের চরম নিন্দা করছি।”
