লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি এখন থেকেই এই সব আসনে শুরু করতে তৎপর তারা। দূরের গ্রাম থেকে ইতিমধ্যেই কলকাতায় হাজির তারা। দেখা করেছেন তাদের সঙ্গে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জঙ্গলমহলকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সমাবেশে বক্তব্য রাখতে পারেন বীরবাহা হাঁসদা। ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে উত্তরের জেলা থেকে রেকর্ড জমায়েত করার টার্গেট তৃণমূলের।
আরও পড়ুন-আজ একুশের সমাবেশ, লক্ষ্য ২০২৪-এর লোকসভা ভোট, নজরে তৃণমূল নেত্রীর ভাষণ
advertisement
পঞ্চায়েত ভোটের ফলে উত্তরের জমি ‘শক্ত’ হয়েছে তৃণমূলের, তাই ২১ জুলাই উত্তরবঙ্গ থেকে ধর্মতলায় রেকর্ড জমায়েত করা হচ্ছে। ২০২৪-এর নির্বাচনে শাসক শিবিরের ‘পাখির চোখ’ কোচবিহার থেকে মালদহ পর্যন্ত আট লোকসভা আসন। তাই চা-বলয়, রাজবংশী এলাকা থেকে ব্লক ভিত্তিক জমায়েতে জোর দিয়েছে শাসক দল। উত্তরবঙ্গগামী সমস্ত ট্রেনে আসছেন শাসক দলের নেতা-কর্মীরা। এ ছাড়া সড়কপথেও আসছেন তারা। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে দাবি, অন্যান্যবারের চেয়ে বেশি জমায়েত হবে উত্তরের জেলা থেকে।
আরও পড়ুন– চাকরির জন্য নিরামিষাশী প্রার্থী চাই! বিজ্ঞাপন দিয়ে সমালোচনার মুখে এই কর্পোরেট সংস্থা
পঞ্চায়েত ভোটে পাহাড়ে তৃণমূলের বন্ধুদল প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা হইহই করে জিতেছে। অনীত থাপার দলের অনেকেই সমাবেশে হাজির থাকবেন।উত্তরের চা বলয় থেকে রাজ্যসভার সাংসদ পাঠিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।তাই এবারের ২১ জুলাই সমাবেশে ২৪-কে সামনে রেখে টার্গেট উত্তরের আট লোকসভা আসন। ইতিমধ্যেই এই সব জেলার বিধানসভার আসন ধরে ধরে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করেই এগোনোর পরিকল্পনা নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ এই সব জেলার মধ্যে থাকা লোকসভার সঙ্গে বিধানসভায় ভোট শতাংশের ফারাক ও পঞ্চায়েতে পাওয়া ভোট ধরে নিয়ে অঙ্ক কষছে শাসক দল। এই সব লোকসভা নজরে আছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিরও। তারাও একাধিকবার জানিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটে ফল তাদের যাই হোক না কেন, তারা লোকসভায় ভিন্ন কৌশলে লড়াই করবে।