advertisement
ওই ট্যুইটে বলা হয়েছে, "আমরা শ্রী জহর সরকারকে রাজ্যসভার জন্য মনোনীত করতে পেরে আনন্দিত। জীবনের ৪২ বছর জহর সরকার জনসেবার কাজ করেছেন। প্রসারভারতীতে দীর্ঘসময় সিইও পদে আসীন ছিলেন তিনি। সাধারণ মানুষের সেবায় তাঁর যে অমূল্য অবদান, তা ভবিষ্যতেও আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।"
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কাণ্ডে জহর সরকারের অবস্থান ছিল সরাসরি কেন্দ্র বিরোধী। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের তথা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ নিয়ে সরাসরি কলম ধরেছিলেন তিনি। তিনি স্পষ্টই বলেছিলেন, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলির রুচিসম্মত নয়. আইনসম্মতও নয়। রাজনৈতিক মহলের মত পাশে থাকারই পুরস্কার পেলেন জহর সরকার।
এতদিন রাজনৈতিক শিবিরের গুঞ্জন ছিল তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত নাম যশবন্ত সিং। পিএসি পদ নিয়ে ডামাডোলের মাঝে অনেকে আবার মুকুল রায়ের নামটি এগিয়ে রাখছিল। বলা হচ্ছিল, দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে বিজেপি যেভাবে মাঠে নেমেছে তার আঁচ এড়াতেই মুকুল রায়কে রাজ্যসভায় নিয়ে আসতে পারে তৃণমূল। কিন্তু বলাই বাহুল্য সেসব জল্পনায় জল ঢেলে দিচ্ছে তৃণমূলের এই ঘোষণা। জানা যাচ্ছে তৃণমূল নেত্রী নিজেই সরাসরি জহর সরকারের কাছে এই প্রস্তাব রেখেছেন। আর জহর সরকারও তৃণমূল নেত্রীকে নিরাশ করেননি।