কোনও রাজনৈতিক লড়াই এখন আর শুধু ভোটের ময়দানে সীমাবদ্ধ নেই, তা এখন ডিজিটাল মাধ্যমের হাত ধরে পৌঁছে গেছে প্রত্যেকের কাছে। আর এই নতুন সংকল্পের হাতকে আরও দৃঢ় করতে তৃণমূলের কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর এই সুস্পষ্ট ও দৃঢ় পদক্ষেপ তরুণ প্রজন্মের সামনে রাজনীতির এক নতুন দিশা খুলে দিল। বাংলার বিরোধীদের বিরুদ্ধে, তাদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বাংলা-বাঙালীর জাত্যাভিমান রক্ষার স্বার্থে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর এই নতুন প্রচেষ্টা বাংলায় নতুন যুগের সূচনা করল।
advertisement
আরও পড়ুন: রাত নামলেই ঘরে ঢুকে বিরক্ত করে, আলো নিভলেই ‘মৃত্যু’ শ্যামাপোকার! কী খায় এই পোকা? জানলে চমকে যাবেন
একটা সময় ছিল, যখন বাংলা শুধু একটা ভূখণ্ড ছিল না—ছিল এক অগ্নিস্ফুলিঙ্গ। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে, এই মাটিই ছিল ভারতের জ্ঞান, সংস্কৃতি আর আত্মিক জাগরণের কেন্দ্র। এখানে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যাঁর কলমে ফুটে উঠেছিল মানবতার গান। এখানেই গড়ে উঠেছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মতো বিপ্লবী, যাঁর বজ্রকণ্ঠে কেঁপে উঠেছিল সাম্রাজ্যবাদ। কিন্তু সময় বদলেছে। আজ, কিছু বহিরাগত শক্তি, রাজনৈতিক স্বার্থে পরিচালিত হয়ে বাংলার সেই গৌরবময় ইতিহাসকে বিকৃত করতে উঠে পড়েছে। তারা চায় বাংলার কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করতে, বাংলার অহংকারকে খর্ব করতে, এমনকি বাংলার অস্তিত্বকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাতে।
এই পরিস্থিতিতে, বাংলার তরুণ প্রজন্ম আর চুপ করে বসে নেই। তারা জানে, আজকের যুদ্ধ শুধু রাস্তায় বা সংসদে নয়—এখন যুদ্ধের ময়দান ডিজিটাল জগতে। যেখানে বাংলা-বিরোধীরা মিথ্যা আর অপপ্রচারের অস্ত্র নিয়ে বাংলাকে কলঙ্কিত করতে চাইছে।
এই প্রেক্ষাপটে জন্ম নিল এক নতুন উদ্যোগ—‘আমি বাংলার ডিজিটাল যোদ্ধা’। এটি তরুণদের হৃদয় থেকে উঠে আসাএক স্বতসঃফূর্ত প্রয়াস। যারা স্বপ্ন দেখে, সৃষ্টি করে, এবং মিথ্যার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে ভয় পায় না। তারা বাংলার ভাবনাকে লালন করে, বাংলার বার্তা পৌঁছে দেয় দেশের প্রতিটি কোণে, এমনকি বিশ্বের দরবারেও। এই উদ্যোগ শুধু প্রতিরোধ নয়, এটি বাংলার সম্মান পুনরুদ্ধারের সংকল্প। বাংলার নিজস্ব ন্যরেটিভকে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা। যারা প্রতিহিংসা আর বিভাজনের রাজনীতি করে, তাদের মুখোশ খুলে দেওয়ার অভিযান এটি। এবং যেখানে সবচেয়ে প্রয়োজন, সেখানে নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ। এই গল্পে বাংলার মানুষ ভুলভাবে উপস্থাপিত হবে না, তারা চুপ করে থাকবেন না। তারা এবার সত্যের জয়গান গাইবে দৃঢ় স্বরে। কারণ, এই গল্প বাংলার, এবং বাংলাই এই গল্পের নায়ক।
আরও পড়ুন: পূর্বজন্মের প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গে দেখা! বুঝবেন কী ভাবে? জ্যোতিষের এই ১০ লক্ষণই সব বলে দেবে
এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য ডিজিটাল বিপ্লবের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়া, বাংলার চেতনাকে রক্ষা করা। বাংলার ভবিষ্যৎকে আরও দৃঢ় ও শক্তিশালী করতে সৃজনশীলতার সাথে বাংলাকে উদযাপন করা।
মূলত ৩টি বিভাগে ডিজিটাল যোদ্ধাদের নিযুক্ত করে অংশগ্রহণ করানো এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য, এই বিভাগগুলি হলঃ
১) কনটেন্ট ক্রিয়েটর – ক্রিয়েটর ফোর্স
২) সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার – কমিউনিটি লিডার
৩) ডিজিটাল অ্যাম্প্লিফায়ার- ফোর্স মাল্টিপ্লায়ার
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া:
ডিজিটাল যোদ্ধারা নির্ধারিত ওয়েবসাইট বা অনলাইন ফর্মের মাধ্যমে সাইন আপ করবেন।
শ্রেণিবিভাগ:
তথ্য সংগ্রহ করে অংশগ্রহণকারীদের ভূমিকা নির্ধারণ করা হবে—
কনটেন্ট ক্রিয়েটর
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার
বা ডিজিটাল অ্যাম্পলিফায়ার
পরিচিতি তৈরীর পদ্ধতি:
উদ্যোগ সম্পর্কে প্রাথমিক পরিচিতি ও দিক নির্দেশনা দেওয়া হবে।
প্রশিক্ষণ:
৪ সপ্তাহব্যাপী অনলাইন ও অফলাইন পদ্ধতিতে দক্ষতার জন্য উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে।
এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হলে যোদ্ধাদের পাওনাঃ
– বাংলার ঐতিহ্যের অংশ হওয়া
– নিজের প্রতিভাকে তুলে ধরা
– নিজস্ব নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা
– প্রকৃত পরিবর্তনের চালক হয়ে ওঠা
– স্বীকৃতি ও পুরস্কার লাভ
রেজিস্ট্রেশন শুরু হচ্ছেঃ ১৬ অক্টোবর, ২০২৫
রেজিস্ট্রেশন শেষ হচ্ছেঃ ৩০ নভেম্বর, ২০২৫
রেজিস্ট্রেশন করতে হবেঃ www.ABDigitalJoddha.com