তাঁর কথায়, এলাকার মানুষ গত সাড়ে তিন বছর ধরে নাস্তানাবুদ হচ্ছে। গত তিন বছরে চার বার এমন ঘটনা ঘটল। এর শেষ কোথায়? প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার সকাল থেকে দেখা গিয়েছে, ভয়ে-আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন দুর্ভোগের শিকার হওয়া মানুষরা। সব জিনিসপত্রও নেওয়ার সময় পাননি তাঁরা। এক ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে, বাড়ির কুলদেবতাকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে আসছেন। অনেকেই আবার সকাল থেকে এসে দেখা করে যাচ্ছেন তাপস রায়ের সাথে। অনেক আশা নিয়ে তাদের আশা।
advertisement
আরও পড়ুন: গভীর রাতের চন্দননগরে হঠাৎ হাজির পুলিশ সুপার, শুরু নাকা চেকিং! হলটা কী? শোরগোল
বিধায়ক তাপস রায় বলেন, “খুবই কষ্টের, খুবই বেদনার। গত সাড়ে তিন বছর ধরে আমাদের পাড়া বদলে গেছে। কত চেনা মানুষ যেন চোখের সামনে থেকে হারিয়ে গেছে। এই পরিস্থিতি ভাষার প্রকাশ করা যায় না। যাঁরা এই পরিস্থিতিতে পড়েছেন, তাঁরাই এটা বুঝতে পারছেন।” এই আতঙ্কের মধ্যে তার পরিবার চাইছেন আপাতত বাড়ি ছাড়তে।
আরও পড়ুন: কোথায় বর্ষা বিদায়, চলবে বৃষ্টি! আগামী সপ্তাহ নিয়ে বড় পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের
তিনি নিজেই সংশয় প্রকাশ করে জানিয়েছেন, বউবাজার এলাকায় তাঁদের আর থাকা ঠিক হবে কি না। বলেন, “আমার মেয়ে ও স্ত্রী তো থাকতে চাইছেন না। আমার ঘর থেকে বাঁ-দিকে তাকালে গড়ের মাঠ হয়ে গেছে। চেনা বাড়িগুলো আর নেই। বাড়ির পিছনের অংশে, ডান পাশেও একই অবস্থা।" প্রতিদিন সকালেই বউবাজার এলাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান তাপস রায়। পুরো ঘটনায় দায় মেট্রোর উপর ঠেলে তাঁর সাফ দাবি, স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করুন কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষ। তিনি জানিয়েছেন, "পরিকল্পনায় গলদ ছিল। মেট্রোকে ক্ষমা করা যায় না৷ প্রযুক্তিগত ত্রুটি রয়েছে। আমি ও আমার প্রতিবেশীরা তিন বছর ধরে আতঙ্কে রয়েছি।"