আরও পড়ুন: কী করছে গোয়েন্দা, পুলিশ? পর পর গণপিটুনির ঘটনায় ক্ষুব্ধ মমতা, কড়া নির্দেশ
অন্যদিকে দুই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, শপথগ্রহণ নিয়ে দীর্ঘ জটিলতা ঘিরে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। এ দিন বরানগরের বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায় রাজ্যপালের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে বলেন, “সাংবিধানিক প্রধান শব্দটি শুধুমাত্রই একটি পদ নয়, এর সাথে জুড়ে রয়েছে সংবিধানের প্রতি ভালোবাসা, বিশ্বাস এবং সংবিধান ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করার দায়বদ্ধতা। আজ সাংবিধানিক প্রধানের হাতেই গণতন্ত্র বিপন্ন”৷
advertisement
সেই সঙ্গে তাঁর আরও বক্তব্য, “স্বাধীন ভারতবর্ষের বুকে জনগণের রায়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মানুষের স্বার্থে কাজ করার শপথগ্রহণের জন্য ধর্ণা ও অবস্থান বিক্ষোভ করতে হচ্ছে৷ এই চিত্র লজ্জার। আশাকরি দ্রুত সাংবিধানিক প্রধানের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং জনগণের রায়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সংবিধান মেনে শপথগ্রহণ করবেন৷”
রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস জানিয়েছিলেন, ২৬ জুন তাঁরা রাজভবনে গিয়ে শপথগ্রহণ করতে পারবেন৷ কিন্তু, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জানাচ্ছেন, তাঁরা চান প্রথা মেনে বিধানসভা ভবনেই শপথগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হোক৷ এ নিয়ে টানাপড়েনের মাঝেই ২৮ জুন দেশের উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে এ বিষয়ে টেলিফোনে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছেন রাজ্যের স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তার পরে শপথগ্রহণ না করালে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কুণালও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শপথগ্রহণ হয়নি দুই বিধায়কের।