ডোমকল: প্রয়াত হলেন ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুল ইসলাম। বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। এরপর কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বৃহস্পতিবার সেখানেই মারা যান তিনি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ডোমকল বিধানসভায় তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে জয়ী হন তিনি। জাফিকুল ইসলামের প্রয়াণে শোকের আবহ গোটা রাজনৈতিক মহলে।
advertisement
প্রসঙ্গত, বছর ১৫ আগেও তেমনভাবে পরিচিতি ছিল না জাফিকুল ইসলামের। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাফিকুল। তাঁরা তিন ভাই। তিনি মেজো। স্নাতক হওয়ার পর চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরেছেন, কিন্তু পাননি। তবে তিনি মুড়ি মিলের ব্যবসায় আটকে থাকার মানুষ ছিলেন না।
মাঝখানে কিছুদিন ধর্মীয় প্রচারে মনোনিবেশ করেছিলেন। জাফিকুল জানিয়েছিলেন, সেটা অল্পদিনের জন্য। কিন্তু তার পরেই কোথা থেকে কী হল তার সূত্র পাওয়া যায়নি। তার ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় বাড়ির কাছেই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন একটি বিএড কলেজে। সেই যে শিক্ষাজগতে প্রবেশ তার পর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি।
একের পর এক সাফল্যে বিএড, ডিএড কলেজের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানের গোবিন্দপুরে ও তাঁর নিজের বাড়ির কাছে বিএড-ডিএড মিলিয়ে সাতটি কলেজ আছে তাঁর মালিকানাধীন। এছাড়াও রয়েছে একটি করে ফার্মাসিস্ট ও পলিটেকনিক কলেজও। বিধায়কের একটি পেট্রল পাম্প আছে ডোমকলেই।
২০১১ সালে রাজ্যে বামফ্রন্টের পতনের পর ২০১৫ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। আর সেই যোগদানের ফলে ধীরে ধীরে তার রাজনৈতিক ভাগ্যও খুলে যায়। ২০১৭ সালে ডোমকল নতুন পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। শুরু হয় তার রাজনৈতিক উত্থান। কাউন্সিলরদের বিক্ষোভের জেরে তৎকালীন চেয়ারম্যান সৌমিক হোসেন অপসারিত হন। তাঁকে অপসারণের পর নতুন চেয়ারম্যান হন জাফিকুল। পরে ২০২১ সালে ডোমকল থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন।