ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি জেলায় ব্লক স্তরে বদল শুরু হয়েছে। একাধিক নতুন মুখকে সামনে আনা হয়েছে। ব্লকের দায়িত্বে থাকা নেতাদের প্রচারের অভিমুখ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। উৎসবের মরসুম শেষ হলেই ব্লক কেন্দ্রিক নানা কর্মসূচী নিয়ে এগোবে শাসক দল। ব্লকের নেতাদের সেই প্রস্তুতি নিয়েই জনসংযোগ সারতে বলছে তৃণমূল। ২৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় ব্লক স্তরের সংগঠনে বড়সড় রদবদল করল তৃণমূল কংগ্রেস।
advertisement
উত্তরের বিভিন্ন জেলায় তৃণমূল, যুব, মহিলা ও শ্রমিক সংগঠনে ব্লক ও টাউন প্রেসিডেন্ট পদে বদল করা হল। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই এই রদবদল হল বলে খবর। লক্ষ্য ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির গড় দুরমুশ করা। তাই উত্তরবঙ্গকে ঘিরে বিধানসভা ভোটের আগে সংগঠন আরও মজবুত করতে এই পদক্ষেপ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি থেকে বিজেপি অনেকগুলি আসন পেয়েছিল। গত লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণবঙ্গে ধাক্কা খেলেও বিজেপি উত্তরে একাধিক আসন ধরে রাখতে সমর্থ হয়। যদিও উত্তরে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলও ভোটব্যাঙ্ক বাড়িয়েছে বলে দাবি দলীয় নেতৃত্বের।
আবার দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ভাল ফল হলেও, বেশ কয়েকটি জেলায় সাংগঠনিক স্তরে ব্লকের দ্বন্দ্ব সমস্যা তৈরি করতে পারে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সাংগঠনিক জেলা ভিত্তিক বৈঠকে এই বিষয়ে আগাম সতর্কতা করেছে শাসক দল। এবার পুরোপুরি ভোটের ময়দানে ব্লকের শক্তিকে ব্যবহার করতে চায় শাসক দল।