এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ২১-এর মঞ্চের ভাষণ শুনেছেন, পি চিদাম্বারাম, দ্বিগবিজয় সিং, সুপ্রিয়া সুলেরা। প্রত্যেক বিরোধী নেতামন্ত্রীর নাম নিয়ে তাঁদের বিরোধী ফ্রন্ট গড়ার ডাক দিয়ে মমতার দাবি, বিরোধী ফ্রন্ট দেশ চালানোর ক্ষমতায় এলে বাংলা মডেলকেই (Mamata Banerjee on Bengal Model) বেছে নেওয়া হবে। তাঁর কথায়, 'আমাদের রাজ্যে আমরা ফ্রি রেশন দিই। কোন কোন রাজ্যে আপনারা ফ্রি-তে রেশন দেন? প্রধানমন্ত্রীজি দয়া করে গোটা দেশে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। আমাদের বিরক্ত করবেন না। আমাদের ফ্রন্ট যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে দেশের সব নাগরিককে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে। বাংলায় বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হয়। বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প নয়, আমরা স্বাস্থ্যসাথীতে ৫ লক্ষ টাকা করে প্রতি পরিবারকে বছরে দিই। সরকারি হাসপাতালে পুরো বিনামূল্যে চিকিৎসা হয়।'
advertisement
বাংলা মডেলকে আরও বিস্তারিত ভাবে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'রাজ্যে ১০ লক্ষ টাকা করে স্মার্টকার্ডে পড়ুয়াদের ক্রেডিট কার্ড চালু করা হয়েছে। আমরা মহিলাদের জন্য ভেবেছি। তপশিলি জাতির মহিলাদের প্রতি মাসে ১ হাজার করে দিই। জেনারেল কাস্ট পায় ৫০০ টাকা করে। রাজ্যের কন্যাশ্রী প্রকল্প সারা বিশ্বে এক নম্বর হয়েছে। চাষিদের জন্য আমরা ১০ হাজার টাকা করে দিচ্ছি। এক একর জমির জন্য। এক কাঠা জমি থাকলেও ৪ হাজার টাকা দেওয়া হয়। জমির মিউটেশন পুরোপুরি ফ্রি। বাংলায় মডেল, গুজরাত নয়। আপনারা গুজরাতে কী করেছেন তা সবাই জানে। এখানে কেউ মারা গেলেও, শেষকৃত্যের জন্য ২ হাজার টাকা দিই। বিয়ের জন্য মেয়েদের ২৫ হাজার দেওয়া হয় রূপশ্রীতে। এছাড়াও রয়েছে মাটিসৃষ্টি, খাদ্যসাথী, সবুজশ্রী, সমব্যথী, আনন্দধারা, দুয়ারে সরকার, পাড়ায় পাড়ায় সমাধান আছে। আমরা জনগণের জন্য কাজ করি। ই-কমার্স থেকে স্মল স্কেল ইন্ডাস্ট্রিতে আমরা এক নম্বর। ১০০ দিনের কাজে আমর এক নম্বর। দারিদ্রতা কমেছে ৪০ শতাংশ।'
সব রাজ্যকে মমতার আহ্বান, 'গঙ্গায় মৃতদেহ ভাসছে আর প্রধানমন্ত্রী বলছেন উত্তরপ্রদেশ দেশের মধ্যে সেরা রাজ্য। একটুই লজ্জা নেই। টিকা নেই, ওষুধ নেই, অক্সিজেন নেই, মৃতদেহ সৎকার পর্যন্ত করতে দিতে হচ্ছে না। আমরা গঙ্গা থেকে তুলে সৎকার করেছি। খালি বড় বড় কথা। আপনার ব্যর্থতা চূড়ান্ত। আপনাদের জন্য ৪ লক্ষ লোক মারা গিয়েছে। দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণ কার যেত সঠিক সময় ব্যবস্থা নিলে। কিন্তু বাংলায় ডেইলি প্যাসেঞ্জারের মতে এসে গণতন্ত্র ধ্বংস করতেই ব্যস্ত ছিলেন আপনারা। বাংলার মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছেন, স্বাধীনতা আন্দোলন হোক বা যে কোনও লড়াই, লড়তে প্রস্তুত বাংলা। সব রাজ্যকে বলব, একজোট হয়ে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হন। জোট গড়ে তুলুন। এটাই ঠিক সময়। যত দেরি করবেন, ততই সময় নষ্ট হবে। আমি দিল্লি যাচ্ছি। শরদজি, চিদম্বরমে বলব বৈঠক ডাকলে আমরা যাব'।