মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের আক্রমণাত্মক এবং তাদের নারী-বিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করেছেন। এর বিরুদ্ধে, প্রতিবাদে নামে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা শাখার সভাপতি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে “ধান্দা” এর মতো নোংরা শব্দ ব্যবহারের প্রতিবাদে সুকান্ত মজুমদারকে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: সামনে এল বাগানবাড়ি রহস্য, বিস্ফোরক মন্তব্য দিলীপ ঘোষের! মিলবে খোঁজ?
“নারীদের অপমান করা এবং তাদের নারীবিরোধী মানসিকতাকে প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রকাশ করা ,বিজেপি নেতৃত্বদের সংস্কৃতি। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে কথা বলার সময় তিনি কীভাবে “ধান্দা” শব্দ ব্যবহার করতে পারেন? তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংগ্রামের ইতিহাস জানেন না কারণ তিনি রাজনীতিতে নবাগত। বাংলার একজন মহিলা এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যা হিসাবে, আমি তার কথার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা এই মাসের শেষের দিকে এই আচরণের প্রতিবাদে রাস্তায় নামব,” বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: রাম মন্দিরের উদ্বোধন সোমবার, সরকারি অফিসের মতো ব্যাঙ্কেও কি ছুটি ২২ জানুয়ারি? বড় খবর
তার আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ার পরিবর্তে, সুকান্ত মজুমদার সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও একজন মহিলা তৃণমূল নেত্রীকে অপমান করে এবং তাকে অশিক্ষিত বলে অভিহিত করেছেন বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। “হিন্দি এবং বাংলা, ভাষা হিসাবে দুটির পার্থক্য বিস্তর। উভয় ক্ষেত্রেই কিছু শব্দ উচ্চারণগত ভাবে শুনতে এক লাগলেও অর্থ সম্পূর্ণ আলাদা। আমি আশা করেছিলাম, একজন শিক্ষিত, সম্মানিত রাজনীতিবিদ হিসাবে আপনি এটি বুঝতে পারবেন, কিন্তু নাহ, আমিই ভুল ছিলাম …” ডঃ শশী পাঁজার বিবৃতির প্রতিক্রিয়া হিসেবে সুকান্ত মজুমদার এটি পোস্ট করেছেন বলে অভিযোগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
শশী পাঁজা আরও বলেন যে বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য, যিনি বাংলার সহ-ইনচার্জও, তার দলে ধর্ষকদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত।