দলীয় সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই তিনি এই বিষয়ে জহর সরকারকে দলের অবস্থান বা বক্তব্য জানিয়ে দিয়েছেন। আর জহর সরকার সেই বিষয়ে কী বলেছেন তা দলকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জহর সরকার দলের রাজ্যসভার সাংসদ। তিনি সংগঠনে কোনও পদে নেই। এমনন কি, তিনি দলের মুখপাত্র পর্যন্ত নন। এমতাবস্থায় সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁর ব্যক্তিগত মন্তব্যের জেরে সমস্যায় পড়তে হয়েছে দলকে। এটি যে দল ভাল ভাবে নেয়নি সেই বার্তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে।
advertisement
আরও পড়ুন: জেল হেফাজতে 'বস', মনোবল ফেরাতে বীরভূমে কেষ্ট-হীন প্রথম রাজনৈতিক সভা
উল্লেখ্য, জহর সরকারকে রাজ্যসভায় যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার কথা উল্লেখ করে জহর সরকার বলেছেন, ‘যিনি আমাকে এই কাজের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তিনি যদি ক্ষুব্ধ হন এবং যদি চলে যেতে বলেন তাহলে আমি পদত্যাগ করব।’
উল্লেখ্য, জহর সরকারকে রাজ্যসভায় যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার কথা উল্লেখ করে জহর সরকার বলেছেন, ‘যিনি আমাকে এই কাজের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তিনি যদি ক্ষুব্ধ হন এবং যদি চলে যেতে বলেন তাহলে আমি পদত্যাগ করব।’
জহর সরকারের এই মন্তব্যের পরে তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরে তা প্রতিদিন মূল চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিতে জহর বাবুর বক্তব্য নিয়ে বিষয়টি আলোচনা হতে পারে।’ অন্যদিকে, সৌগত রায় জহর সরকার পদত্যাগের দাবি করে বলেন, ‘দলে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির দ্রুত পদক্ষেপ করা উচিত। সাহস থাকলে আপনি পদত্যাগ করুন।’ রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও জহর বাবুর এই বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘মত প্রকাশের অধিকার সকলের রয়েছে। তবে দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বলা মোটেও ঠিক নয়।" জহর সরকার নিজেই সরে যান, এমনটা চেয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা বিধায়ক তাপস রায়ও৷