তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর, ফিরহাদ হাকিম মূলত ফোন করছেন মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দিনাজপুরের বিধায়কদের। একই ভাবে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, অরূপ বিশ্বাস, পার্থ চট্টোপাধ্যায়রাও অন্য বিধায়কদের ফোন করা শুরু করেছেন। অরুপ বিশ্বাস তাদের উত্তরবঙ্গ, বর্ধমান, দূর্গাপুর সহ একাধিক জায়গার বিধায়কদের ফোন করছেন। জেলা ভিত্তিক বারবার খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে৷ নিশ্চিত করা হচ্ছে সব বিধায়ক যেন আজ রাতের মধ্যেই কলকাতায় চলে আসেন।
advertisement
আরও পড়ুন: ভাসবে উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলায় প্রবল বৃষ্টি! হাওয়া অফিসের বড় সতর্কতা
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অনেক পদ্ধতি রয়েছে। সেসব শিখিয়ে পড়িয়েও নিতে চাইছে শাসকদল। তা ছাড়া একজন বিধায়কের ভোট নষ্ট হওয়া মানে তা তৃণমূলের কাছে রাজনৈতিক ভাবে তা যথার্থ নয়। কারণ তৃণমূল থেকে পদত্যাগ করেই বিরোধীদের ১৮টি দলের সর্বসম্মত প্রার্থী হয়েছেন যশবন্ত সিনহা।
আরও পড়ুন: তুষের বস্তা ঢাকা গাড়ি আটক করল পুলিশ, বীরভূমে আসলে যা মিলল ভিতরে, হার মানবে সিনেমাও!
গত কয়েকদিন ধরেই রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে যে উত্তরবঙ্গ ও পশ্চিমাঞ্চলের তৃণমূল বিধায়কদের ক্রস ভোটিং করার জন্য বার্তা পাঠাচ্ছে বিজেপি। এনডিএ প্রার্থীকে অনেকেই ভোট দেবেন বলে আগে ভাগেই একাধিকবার মন্তব্য করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাই আগেভাগেই শাসক দলের বিধায়কদের কলকাতায় এনে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে তৃণমূল। তা ছাড়া সময়ের মধ্যে বিধানসভায় পৌঁছতে না পারায় ভোট দিতে পারেননি—অতীতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এমন উদাহরণ রাজ্যে রাজ্যে রয়েছে। তেমন নজির যেন না তৈরি হয় সে ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে বাংলার শাসকদল।একইভাবে রাজ্যসভা ও লোকসভার সাংসদদের মনে করিয়ে দিচ্ছেন সুদীপ বন্দোপাধ্যায়, সুখেন্দু শেখর রায়, সৌগত রায়ের মতো বর্ষীয়ান নেতা-সাংসদরা৷