এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আপনাদের সবাইকে নব বৈশাখের শুভনন্দন জানাই। সকলে বলেন শুভেচ্ছা বা অভিনন্দন। কিন্তু বাংলায় নতুন শব্দ তো আনতে হবে। তাই শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন মিলিয়ে শুভনন্দন হবে না কেন? আমি তাই এটা বললাম আজ।" রাজনীতির পাশাপাশি নানা বিষয়ে যে চর্চা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, তা সকলেরই জানা। রাজ্যের বহু সামাজিক প্রকল্পের চমকপ্রদ নাম তাঁরই দেওয়া। ‘কন্যাশ্রী’, ‘রূপশ্রী’, ‘চোখের আলো’র মতো প্রকল্পের পাশাপাশি ‘ভোরের আলো’, ‘উত্তীর্ণ’, ‘উত্তরকন্যা’র মতো পর্যটন ক্ষেত্র কিংবা সচিবালয়ের নামও তাঁরই দেওয়া।
advertisement
আরও পড়ুনঃ তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪২ ডিগ্রি! কবে থেকে জেলায় জেলায় বৃষ্টি শুরু? জানিয়ে দিল হাওয়া অফিস
এ ছাড়া নানাজনের নামকরণের বিষয়টিও তাঁর সারাক্ষণের নজরে রয়েছে। ভাষা চর্চাতেও তিনি অনেকের চেয়ে এগিয়ে। এ বার বাংলা অভিধানে নতুন শব্দ সংযোজনেও এগিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিঘা প্রেস ক্লাবের উদ্বোধন করে তিনি বলেছিলেন, ''আপনাদের সবাইকে নব বৈশাখের শুভনন্দন জানাচ্ছি। এমনিতে সকলে বলেন শুভেচ্ছা বা অভিনন্দন। কিন্তু নতুন শব্দ তো আনতে হবে। তাই শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন মিলিয়ে বললাম, শুভনন্দন।''
আরও পড়ুনঃ অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে করুন 'এই' কাজ, জীবনে অর্থের অভাব হবে না, আরও কী বলছে জ্যোতিষ? জানুন
বাংলা ভাষা, সাহিত্য নিয়ে নিরন্তর চর্চা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার একাধিক বই প্রকাশ হয়৷ কলকাতার যে কোনও পার্ক হোক কিংবা একাধিক প্রকল্পের নামও তাঁরই দেওয়া। এ ছাড়া সদ্যোজাতদের নামও দিয়ে থাকেন তিনি। শুধু তাই নয়, নিজের লেখালেখিও নিয়েও তিনি সচেতন। ছড়া, কবিতা, প্রবন্ধ মিলে তাঁর ১২৫টি বই রয়েছে। মাতৃভাষা নিয়ে এতটা চর্চা যাঁর, তিনি নতুন শব্দ প্রয়োগ নিয়ে ভাববেন, সেটা তো স্বাভাবিক। যদিও মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এই নয়া শব্দবন্ধ ব্যবহার নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করলেও, নববর্ষের সকাল থেকে শাসকদলের নেতারা এই 'শুভনন্দন' শব্দ ব্যবহার করছেন৷
ABIR GHOSHAL