সম্প্রতি নেপালি ভাষার একটি স্থানীয় সংবাদ পোর্টালকে সাক্ষাৎকার দেন জন বার্লা। সেখানেই উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবি তোলেন তিনি। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল করা এবং লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার উদাহরণও টেনে আনেন তিনি। তাঁর কথায়, 'দক্ষিণবঙ্গ সবসময় উত্তরবঙ্গকে অবহেলা করেছে৷ এখানকার রাজস্ব দক্ষিণবঙ্গে চলে গিয়েছে৷ কিন্তু উত্তরবঙ্গের মানুষের কোনও উন্নয়নই হয় না। তাই আমি উত্তরবঙ্গের পৃথক রাজ্যের মর্যাদা চাইছি৷ আমার বিশ্বাস, তাহলেই এখানকার মানুষ খুশি হবে এবং প্রকৃত উন্নয়ন হবে৷' বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সুর চড়ান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'নতুন করে আর বঙ্গভঙ্গ হতে দেব না৷ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মানে কী? জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, শিলিগুড়ির জমি বিক্রি করে দেবে? মুখে চিনের বিরোধিতা করবে আর বাস্তবে চিনের হাত শক্ত করবে?'
advertisement
আর শুক্রবার থেকে এ নিয়ে আসরে নেমেছেন তৃণমূলের বাকি নেতারাও। ট্যুইটারে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, 'কোনওরকম হিংসার বিষ ছড়ানো বরদাস্ত করা হবে না এই বাংলায়, এটা বিজেপি জেনে রাখুক।' বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের হয়ে ভোটে লড়া অভিনেত্রী সায়ন্তিকা লেখেন, 'বাংলার মাটিতে বিজেপির বিভাজনের বীজ আমরা মেনে নেব না। বিজেপি সাংসদ জন বার্লার এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করছি।' এদিন থেকেই #BengalStandsUnited হ্যাশট্যাগে প্রচারও শুরু করেছে তৃণমূল।
যদিও জন বার্লার মন্তব্যে কিছুটা অস্বস্তিতেই পড়েছে বিজেপি। ভোটে হেরে বিজেপি এখন বাংলাকে ভাগ করতে চাইছে, এই অভিযোগও উঠে আসছে। সেই প্রেক্ষিতেই রাজ্য বিজেপি-র নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, 'বিজেপি কি কোথাও বলেছে ভোটে জিতলেই আলাদা রাজ্য করে দেবে? এটা সাংসদের ব্যক্তিগত মত। দলের নয়। তবে, উত্তরবঙ্গ যে অবহেলিত, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।' যদিও এমন দাবি করার জন্য দলীয় সাংসদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হবে কি না, সে বিষয়টি স্পষ্ট করেনি বিজেপি নেতৃত্ব৷