গত ১২ সেপ্টেম্বর প্রথমে নবান্নে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক ভেস্তে যায়৷ এর পর গত শনিবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ডাকা বৈঠকও ভেস্তে গিয়েছিল৷ আজ ফের জুনিয়র চিকিৎসকদের কালীঘাটের বৈঠকে যোগ দিতে শেষ বারের জন্য প্রস্তাব দেয় রাজ্য সরকার৷ সেই প্রস্তাবে প্রাথমিক ভাবে সম্মতিও দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷
যদিও কুণাল ঘোষ, শশী পাঁজা, ব্রাত্য বসুদের মতো তৃণমূল নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন, কেন বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য মুখ্যসচিবের পাঠানো ই মেলের জবাব দিতে চার ঘণ্টারও বেশি সময় লাগল জুনিয়র চিকিৎসকদের৷ আবার ব্যারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে প্রশ্ন তুলেছেন, জুনিয়র চিকিৎসকরা কি রাজনৈতিক চাপের কাছে নতিস্বীকার করবেন নাকি মানুষের স্বার্থের কথা ভাববেন৷
আরও পড়ুন: অক্সফোর্ড ফেরত অতসী না পরিণীতির স্বামী রাঘব চাড্ডা! দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে কারা?
শুধু দলের নেতারাই নন, একই সুরে তৃণমূলের পক্ষ থেকেও জুনিয়র চিকিৎসকদের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়েছে৷ সেখানে লেখা হয়েছে, ‘ক্রমাগত আবেদনের পরেও জুনিয়র চিকিৎসকরা কোনও সাড়া দেননি৷ অচলাবস্থা কাটাতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সবরকম চেষ্টা করা হয়েছে৷ জুনিয়র চিকিৎসকরা কি শেষ পর্যন্ত এই সঙ্কট কাটানোর সদিচ্ছা দেখাবেন নাকি মানুষের ভোগান্তি চলতে দেবেন৷’
এ দিন বিকেল পাঁচটায় কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে বৈঠক শুরু হওয়ার কথা ছিল৷ যদিও জুনিয়র চিকিৎসকরা সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকে রওনাই হন পাঁচটার পরে৷