অন্য দু’টি পৃথক মঞ্চে মন্ত্রী ও সাংসদরা বসবেন। ইন্ডোরের ফ্লোরে বিধায়ক, রাজ্য কমিটির সদস্য, জেলপরিষদের সদস্য, পুরপ্রধান, কলকাতার মেয়র পারিষদ ও বরো চেয়ারম্যানরা থাকবেন। দুর্নীতি ইস্যুতে প্রতিদিন বিরোধীরা কড়া আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। দলকে ভাঙিয়ে কেউ ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করলে তা যে নেতৃত্বের তরফে বিন্দুমাত্র বরদাস্ত করা হবে না তা আজকের সভা থেকে স্পষ্ট করে দিতে পারেন মমতা-অভিষেক। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপির চক্রান্তের বিরুদ্ধে তৃণমূলের তরফে পালটা লড়াইয়ের কী কী রণকৌশল নেওয়া হচ্ছে তাও এদিন জানিয়ে দেবেন তৃণমূলনেত্রী।
advertisement
সভায় মূল বক্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে মূল মঞ্চ থেকে আগামীর গাইডলাইন দেবেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, বিধানসভা ভোটে পর্যদুস্ত হওয়া বিজেপি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে সিবিআই ও ইডি-কে বাংলার মন্ত্রী, সাংসদ ও তৃণমূল নেতৃত্বের পিছনে ব্যবহার করা হচ্ছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতারের পর গতকাল মলয় ঘটকের বাড়িতে সিবিআই অভিযান হয়েছে।
আরও পড়ুন : পঞ্চায়েতের জন্য বিশেষ জনসংযোগ কর্মসূচি, বুথস্তরীয় সমাবেশে কী বার্তা দেবে তৃণমূল? নজর সেদিকেই
বাংলার শাসক দলের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রবল চাপে মিডিয়ায় নিরপেক্ষতা থাকছে না। বিজেপির কুৎসা ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই পাল্টা প্রচার করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এরকম অবস্থাতেই নেতাজি ইন্ডোরের সাংগঠনিক সভা দলীয় কর্মীদের কাছে শুধু গুরুত্বপূর্ণ নয়, অতীব তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখেই আজকের বৈঠকে পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, গ্রামীণ ব্লক তৃণমূল সভাপতি, সমস্ত পুরসভার কাউন্সিলর, জেলাপরিষদের সদস্য ও কর্মাধ্যক্ষদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : জেলবন্দী পার্থকে বিধানসভার চিঠি! আমন্ত্রণ জানানো হল বৈঠকে
দলীয় সমস্ত বিধায়ক ও সাংসদ ছাড়াও কলকাতা ও বিধাননগর পুরসভার সমস্ত কাউন্সিলর, মেয়র পারিষদ ও বরো চেয়ারম্যানদেরও ডাকা হয়েছে। সকাল ১১টায় সবাইকে পৌঁছে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রতিনিধিরা এসে হাজির৷ দলের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, যাদের কাছে দলের তরফে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছেছে একমাত্র তাঁরাই সভায় প্রবেশ করতে পারবেন।