দলের তরফে মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, "দুয়ারে রেশন একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। সাধারণ মানু্ষকে নিবিড়ভাবে রেশন পাঠানোর ব্যবস্থা। ডিলারদের একাংশ হাইকোর্ট গিয়েছিলেন। রাজ্য সরকার উচ্চ আদালতে যাবে৷ কিন্তু মানুষের কাছে তো রেশন পৌঁছে যাচ্ছিল। সাধারণ মানুষ যারা পরিষেবা পাচ্ছিলেন তারা এবার দেখুন। বিরোধী দলগুলো পৈশাচিক আনন্দ দেখাচ্ছে। মানুষ বিচার করবেন৷ জনতার আদালতেও তো বিচার হবে। মানুষ উপকার পাচ্ছিলেন তো। একাধিক রাজ্য এই মডেল গ্রহণ করছিল। আমরা মানুষের কাছে যাব। হাইকোর্টের রায়ের উপরে আমরা মন্তব্য করতে পারি না। মানুষের দাবি ছিল এই প্রকল্পে। গ্রামাঞ্চলের ক্ষেত্র দেখুন। কত মানুষ সুবিধা পেয়েছেন।"
advertisement
আরও পড়ুন: বিপুল সম্পত্তির মালিক কীভাবে? সিবিআই-কে আয় ব্যয়ের হিসেব দিলেন সুকন্যা
গত অগাস্ট মাসেই, রাজ্য সরকার রেশন দোকানদারদের জন্য এককালীন মাসিক পাঁচ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছিলেন, "রেশন দোকান প্রতি কিলোগ্রাম খাদ্য শস্য বিক্রির জন্য সরকারিভাবে ৯৫ পয়সা অর্থাৎ কুইন্টাল প্রতি ৯৫ টাকা কমিশন পেয়ে থাকে। দুয়ারে রেশন চালুর পর তাদের আরও অতিরিক্ত ৭৫ পয়সা কমিশন দেওয়া হচ্ছিল প্রতি কিলোগ্রাম চাল-গম বিক্রির জন্য। এর পাশাপাশি আরও এককালীন পাঁচ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে প্রতিটি রেশন দোকানকে। প্রতি কুইন্টাল চাল-গম বিক্রির জন্য ২০০ গ্রাম হ্যান্ডেলিং লোকসান বাবদ একটি পয়সা দেওয়া হবে।"
আরও পড়ুন- ঝগড়ার মধ্যে স্ত্রীর কুঠারের কোপে হত স্বামী, খণ্ডিত করা হয় তাঁর যৌনাঙ্গও
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত অবশ্য সন্তুষ্ট করতে পারেনি রেশন ডিলারদের। ক্ষুব্ধ অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেছিলেন, " মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ১৫ নভেম্বর দুয়ারে রেশন উদ্বোধন করতে গিয়ে রেশন ডিলারদের মাসে এক কালীন দশ হাজার করে আর্থিক সাহায্য বা বিশেষ কমিশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। কারণ দুয়ারে রেশন চালু করতে দুটি কর্মচারী নিয়োগ করতে হয়। এই টাকায় তাদের বেতন মেটানোর কথা। তা’হলে কেন এখন পাঁচ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এছাড়াও রেশন দোকান যখন চালু হয়েছে তখন থেকে বিক্রির সময় যে চাল গম লোকসান হয় ক্ষতিপূরণ হিসেবে সেজন্য কুইন্টাল প্রতি ৬২৫ গ্রাম খাদ্য শস্যের দাম পেতেন রেশন দোকান মালিকেরা। ২০১৬ সালে এটা বন্ধ করা হল। এখন বলছে ২০০ গ্রামের দাম পাবে। কেন? "