তৃণমূলের অপরুপা পোদ্দার এই প্রসঙ্গে বলেন, "আমাদের নেত্রী পাঠিয়েছেন। কাকলি দি-র নেতৃত্বে আমরা যাচ্ছি জাহাঙ্গিরপুরীতে। জঘন্য ঘটনা হয়েছে যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। যেটা দেখেছি সংবাদমাধ্যমের দেখেছি এখনও। পৌঁছে দেখে বিষয়টি নিয়ে বলব।"
অর্পিতা ঘোষ বলেন জাহাঙ্গিরপুরীতে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমরা যাচ্ছি আজ। আমরা গিয়ে জানতে চাইব, এই ঘটনা কেন হল? বুলডোজার দিয়ে বাড়ি ঘর কেন ভাঙা হল? পুরো বিষয়টি গিয়ে জানব তারপর জানাব সুপ্রিম কোর্টের স্টে অর্ডার থাকা সত্ত্বেও কেন ভাঙা হল বাড়িঘর?"
advertisement
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee) জানান, "পাঁচজনের মহিলা প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছি আমরা সাংসদ কাকুলি ঘোষ দস্তিদারের নেতৃত্বে। আরও থাকছেন শতাব্দী রায়, অপরূপা পোদ্দার, অর্পিতা ঘোষ-সহ পাঁচজন। আমি দিল্লিতে থেকেই বিষয়টি নজরদারি করব। মূলত মহিলাদের পাঠাতে চাই। অনেককে যেতে দিচ্ছে না খবর পাচ্ছি।" সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনা প্রসঙ্গে আরও বলেন, "খুবই মারাত্মক ঘটনা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে। একতরফা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটা আমরা কখনই সমর্থন করি না। পার্লামেন্ট বন্ধ তাই এটা লোকসভাতে তোলার সুযোগ কম তাই প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছি আমরা।
আরও পড়ুন : শিয়ালদহ মেট্রোর উদ্বোধনে মোদি? খোঁজ নিচ্ছে পিএমও! কবে থেকে চালু যাত্রী পরিষেবা?
প্রসঙ্গত, আজও থমথমে উত্তর-পশ্চিম দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী (TMC Jahangirpuri) এলাকা। বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নামে প্রশাসনের ‘গা-জোয়ারি’ মনোভাব নিয়ে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। বেছে-বেছে নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষের সম্পত্তিকেই নিশানা করছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন দিল্লির প্রশাসন। এমনই অভিযোগে সরব বিরোধী কংগ্রেস থেকে শুরু করে বাম ও অন্য দলগুলি। এমনকী সুপ্রিম কোর্ট নির্মাণ ভাঙার কাজে স্থগিতাদেশ দিলেও তা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। এই প্রসঙ্গে সরব তৃণমূল নেতৃত্ব। আজ তৃণমূলের প্রতিনিধিদল সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখে কী অবস্থান নেয় সেটাই দেখার।
অনুপ চক্রবর্তী
