আজ, মঙ্গলবার সকালেই সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দেন সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। সোমবার রাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন সুখেন্দুশেখর। ওই পোস্টে লেখা ছিল ‘সত্যমেব জয়তে’, সেই সঙ্গে অশোকস্তম্ভের ছবি। আরজিকরের তত্কালীল প্রধান এবং কলকাতা পুলিশের প্রধানকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবিও করেন তিনি।
সোমবার মধ্যরাতে এক্স পেজে সুখেন্দু লিখেছেন, “আমার ২টো দাবি ছিল: আরজি কর হাসপাতাল ও কলকাত পুলিশের দুই শীর্ষ প্রধানকে সিবিআই হেফাজতে নিয়ে জেরা করুক। জুনিয়র ডাক্তার এবং লক্ষাধিক মানুষের আন্দোলনের চাপে তা অনেকটাই পূরণ হয়েছে। কলকাতা পুলিশ এখন যথেষ্ট চাপে। সবার মতো আমিও খুশি। সত্যমেব জয়তে।” তারপরেই তিনি ইস্তফার কথা ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাতেই তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি রাতেই ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন বলে খবর। তবে তা গৃহীত হয়েছে কি না, সে বিষয়টি এখনও জানা যায়নি। এই বিষয় নিয়ে সুখেন্দুশেখর নিজেও কিছু জানেন না বলে জানা গেছে।
প্রথম থেকেই আরজি কর কাণ্ড নিয়ে সরব ছিলেন তৃণমূল সাংসদ। সঠিক বিচারের দাবিতে, তিনি কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানিয়ে সিবিআইকে চিঠিও লিখেছিলেন। যে কারণে দলের অন্দরে তাঁর নামের সঙ্গে জুড়েছে ‘বিদ্রোহী’ বিশেষণও।