রাজ্য সঙ্গীত গাওয়া হয় সরকারি সব অনুষ্ঠানে। বাঙালির আবেগ, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও পরম্পরাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে জাগাতে চায় তৃণমূল। গত কয়েকদিন ধরেই গো-বলয়ের রাজনীতি আমদানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে তৃণমূল। রাম নবমী পালন নিয়ে উন্মাদনা তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। দেড় কোটি হিন্দুকে রাস্তায় নামানোর কথা বলছে বিজেপি। সেই সময়েই বিজেপির মোকাবিলায় বাংলা নববর্ষকে হাতিয়ার তৃণমূলের।
advertisement
জনসংযোগের জন্য লিখিত নির্দেশিকা পাঠাল তৃণমূল। যেখানে প্রভাতফেরী, রক্তদান, মণীষীদের শ্রদ্ধা, বয়স্কদের সম্মান জ্ঞাপন-সহ সামাজিক অনুষ্ঠান পালনের ডাক রয়েছে। কলকাতায় গিরীশ পার্ক থেকে জোড়াসাঁকো পর্যন্ত মিছিল করবে তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভা ভোটের আবহেই গতবার চালসায় এমনই এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঙালিয়ানা অস্ত্র হয়ে ওঠে তৃণমূলের। ২০২১ সালেও একই ভাবে এই অস্ত্রে বাজিমাত করে তৃণমূল। রাজনৈতিক মহলের মতে ‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’ এই স্লোগান ছিল তারই উদাহরণ। গত কয়েকদিন ধরে রাজনৈতিক ভাবে গো-বলয়ের সংস্কৃতি বাংলায় আমদানি করছে বিজেপি, এই অভিযোগে সরব বিজেপি। সেই অবস্থায় বাংলা ও তার সংস্কৃতিকে অস্ত্র করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
(হিন্দু নববর্ষ, নববর্ষ বা নব সংবতসর নামেও পরিচিত, হিন্দু চন্দ্র ক্যালেন্ডার অনুসারে বিশেষভাবে চৈত্র মাসে পালিত হয়। হিন্দু ঐতিহ্য অনুসারে, নববর্ষ ১লা জানুয়ারি উদযাপিত হয় না, কারণ এটি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের পরিবর্তে একটি চন্দ্র ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে। সুতরাং, আসন্ন হিন্দু নববর্ষ ২০২৫ হবে ৩০ মার্চ।)