তিনি বলেন, "উত্তরের চা-শ্রমিকরা এই সম্মলনে উপস্থিত থাকবেন। হলদিয়ার মতোই থাকবে কাচের বয়াম। জেলাভিত্তিক যে প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন তাঁদের মধ্যে যাঁরা বলতে ইচ্ছুক তাঁরা কাগজে নাম লিখে বয়ামে জমা দেবেন। লটারি করে নাম নির্বাচন করা হবে। নেতৃত্ব যাঁরা তাঁরা কিছু কথা বলবেন এরপর বাকি গোটা দিনই সম্মেলনের প্রতিনিধিরা বলবেন।পরের দিন অর্থাৎ ১১ তারিখ ওই সম্মেলনের নির্যাস নিয়েই চা-শ্রমিকদের এ-যাবৎকালের বৃহত্তর সমাবেশে আলোচনা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে কালচিনি এবং নকশালবাড়িতে চা-শ্রমিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে কর্মসূচি। সেই সম্মেলনেও চা-শ্রমিকদের সুবিধা, অসুবিধা প্রতিটি বিষয় তুলে ধরা হয়। বাংলার বুকে চা শ্রমিকদের নিয়ে এই সভা নিঃসন্দেহে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। বাম জমানায় ও পরবর্তীতে বিজেপি শ্রমিকদের প্রলোভিত করেছে। কিন্তু কোনওভাবেই তাদের হাতে ন্যায্য পাওনা পৌঁছে দেয়নি।"
advertisement
আরও পড়ুন : নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগের জের, বিজেপির সাংগঠনিক বড় দায়িত্ব থেকে সরানো হল অনুপমকে
আরও পড়ুন : রানি এলিজাবেথের শেষশয্যায় রাজপরিবারের বাকিরা থাকলেও যাননি উইলিয়ামের স্ত্রী কেট, জানুন কারণ
ইতিমধ্যেই এই সমাবেশ উপলক্ষে গত এক মাস ধরে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উত্তরের বিভিন্ন জেলা ধরে সাংগঠনিক আলোচনা হয়েছে৷ বিভিন্ন চা-বাগানেও এই বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে৷ চা বাগানের শ্রমিকদের সাথেও এই বিষয়ে আলোচনা করেছে শ্রমিক নেতৃত্ব।গত কয়েক বছরে চা-বাগান এলাকায় একাধিক প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য নানা প্রকল্প নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া শ্রমিকদের পেনশন ও অন্যান্য বিষয়েও নজর দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে উত্তরের জেলায় ভাল ফল করতে গেলে ফ্যাক্টর অবশ্যই চা বাগানের ভোট। সেদিকেই নজর দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।