ইকবাল বলে, “সুশান্ত ঘোষ গুন্ডা। আমার জায়গা দখল করেছিল সেখ হায়দার আলি। এই হায়দার আলি সুশান্ত ঘোষের সাথী। আমার ২ হাজার স্কোয়ার ফিট জায়গা দখল করে হায়দার আলি। সেজন্যই সুশান্ত ঘোষকে মারার চেষ্টা করি। সে জানায় ইকবাল আমার সাথী। আমি গুলজার”।
advertisement
ব্যক্তিগত কোনও শত্রুতা নাকি রাজনৈতিক কারণ- তৃণমূল কাউন্সিলারকে খুনের চেষ্টার কারণ কী তা নিয়ে ধ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত করছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। ধৃতকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ধৃত গুলজারের এই বক্তব্য কতটা সত্যি তা খতিয়ে দেখা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
এর আগে এই ঘটনায় যুবরাজ সিং নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আগেই জানা গিয়েছিল, এই ঘটনার সঙ্গে বিহার যোগ রয়েছে। বিহারের বৈশালী থেকে এসেছিল তিনজন। মাসখানেক আগেই আসে তারা। তাদের খিদিরপুরের একটি জায়গায় রাখা হয়। বেশ কয়েকবার রেইকি করে তারা। এরপরই তৈরি হয় অপারেশনের ছক। খিদিরপুর থেকে প্রথমে ট্যাক্সিতে যায় তারা। তারপর স্কুটিতে স্পটে পৌঁছয়। ট্যাক্সি চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার ট্যাক্সিতে চেপেই অপারেশনে গিয়েছিল তারা। ফেরার পথেও তার ট্যাক্সি ব্যবহার করা হয়। রাতে কলকাতায় গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর এদিন সকালেই বিহারে পালিয়ে যাওয়ার ছক করে গুলজার। মোটর সাইকেলে পালানোর সময় সে গলসিতে ধরা পড়ে।