এই পরিস্থিতিতে আজ ৬ তারিখ সদ্য গঠিত ৩৬ সদস্যের কোর কমিটি ও জেলা সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক। তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে হবে এই বৈঠক।একই এপিক নম্বরে বাংলা এবং বিজেপিশাসিত গুজরাত ও হরিয়ানার ৬১১ ভোটারের সন্ধান মিলেছে। রাজ্যের ভোটার তালিকায় ‘বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী’র অভিযোগ এনেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদের রানিনগর বিধানসভা ও দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ৬১১ জন এমন ভোটারের সন্ধান মিলেছে, যাঁদের সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্রের নম্বরের লোক রয়েছে গুজরাত ও হরিয়ানায়।বিজেপিশাসিত দুই রাজ্যের এপিক কার্ডধারীদের নাম রয়েছে বাংলার ভোটার তালিকায়।
advertisement
আরও পড়ুন- বিয়ের মন্ডপেই শুরু! বরকে দেখে নিজেকে সামলাতে পারল না কনে! প্রকাশ্যেই যা করল… লজ্জায় লাল হবু
মূলত ‘এক্সওয়াইজেড’ ও ‘এলপিজেড’ সিরিজের এপিক কার্ডেই এই ‘জালিয়াতি’ ধরা পড়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে সবথেকে বেশি ৪৮২ জন এমন ভোটার রয়েছে। তাঁদের এপিক কার্ডের যে নম্বর, একই নম্বর গুজরাতের দানিলিমডা, গান্ধীনগর সাউথ, ঘাটলোডিয়া, কালল, নাবোদা, ঠক্করবাপা নগর, গোন্ডল, মানসা ও ভেজালপুর বিধানসভার ৪৮২ জন ভোটারের। আর মুর্শিদাবাদের রানিগরের এমন ভোটার রয়েছে ১২৯ জন। তাঁদের এপিক কার্ডের নম্বরের মিল রয়েছে হরিয়ানার বারওয়ালা বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটারদের।
আরও পড়ুন-‘কন্ডোম’ ছাড়া একমুহূর্ত চলে না…! রণবীরের ‘বেডরুম সিক্রেট’ ফাঁস দীপিকার, রেগে আগুন ঋষি যা বললেন…
রানিনগর বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার মহম্মদ সাইদুল ইসলাম। তাঁর এপিক কার্ড নম্বর এক্সওয়াইজেড ০৬০০৮৪১। ওই একই নম্বরের এপিক কার্ড রয়েছে হরিয়ানার বারওয়ালা বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার সুনীতার। আবার রানিনগরের সাইদুল ইসলামের এপিক কার্ড নম্বর এক্সওয়াইজেড ০৫৯৯৭২০। ওই একই নম্বরের এপিক রয়েছে বারওয়ালার ভোটার সুরেন্দ্র কুমারের। গঙ্গারামপুর বিধানসভার ভোটার মানিক রায়, এপিক কার্ড নম্বর এলপিজেড ২৫২৫৯৭০। একই নম্বরের কার্ড গুজরাতের দানিলিমডা কেন্দ্রের নরেশকুমার সোনির। মানিকবাবুর ভাই বিপ্লব রায়ের এপিক কার্ড নম্বর এলপিজেড ২২৬৮০৮৪। ওই নম্বরেরই কার্ড রয়েছে গান্ধীনগর সাউথ কেন্দ্রের গোমতীবেন ঠক্করের।গত কয়েকদিন ধরে উঠে আসা এই সমস্ত অভিযোগ নিয়েই আজ নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস ।