ইতিমধ্যেই তৃণমূল যে জেলা পরিষদগুলি দখল করেছে তার মধ্যে রয়েছে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, উত্তর চব্বিশ পরগণা, বীরভূমের মমতো জেলা৷
এমন কি, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরেও একপেশে ভাবে জেলা পরিষদ দখল করে নিয়েছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: গণনার রাতে অশান্ত ভাঙড়! পুলিশ-ISF সংঘর্ষে মৃত ২, গুলিবিদ্ধ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
advertisement
এই তালিকা থেকেই পরিষ্কার, শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হলেও কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের মতো উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও তৃণমূলের সঙ্গে এঁটে উঠতে ব্যর্থ গেরুয়া শিবির৷ আলিপুরদুয়ারের মতো জেলার চা বলয়ে তৃণমূলের সাংগঠনিক শক্তি িনয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন ছিল শাসক দলের অন্দরেই৷ সেই জেলাতেও জেলা পরিষদের ১৮-টির মধ্যে ১৮টি আসনই তৃণমূল দখল করে নিয়েছে৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের জেলা কোচবিহারেও ১৮টির মধ্যে ২৬টি জেলা পরিষদের আসন তৃণমূলের দখলে এসেছে৷
একই ভাবে জঙ্গলমহলেও বিজেপি-র রক্তক্ষরণ অব্যাহত রয়েছে৷ ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সবকটি আসন তৃণমূল একাই দখল করে নিয়েছে৷ পুরুলিয়া, বাঁকুড়া জেলা পরিষদেও দাগ কাটতে ব্যর্থ বিজেপি৷ উত্তর চব্বিশ পরগণাতেও জেলা পরিষদের ৬৬টি আসনের সবকটিতেই জয় পেয়েছে তৃণমূল৷ মুর্শিদাবাদ, মালদহের মতো জেলায় বাম-কংগ্রেস লড়াই দিলেও জেলা পরিষদ দখল করতে অসুবিধা হয়নি তৃণমূলের৷ অন্যান্য জেলাতেও ছবিটা কমবেশি একই৷