বিতর্ক শুধু একটা ছিল না৷ প্রথমে বিয়ে ভাঙা নিয়ে বিতর্ক৷ তারপরে, একুশের বিজেপি প্রার্থী তথা অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসা দিয়ে শুরু৷ তবে, বিষয়টি এখানেই থেমে থাকেনি৷
কিছুদিন আগেই কলকাতার পাম অ্যাভিনিউয়ের একটি সংস্থার তরফে একাধিক প্রবীণ নাগরিক প্রতারিত হন, বলে অভিযোগ ওঠে। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডার ওই অভিযোগে নাম জড়ায় তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের৷ যা নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করেন ইডি আধিকারিকরা। এরপরেই অবশ্য নিজের বক্তব্য জানাতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন অভিনেত্রী সাংসদ৷
advertisement
তবে বিতর্কের কফিনে শেষ পেরেক ছিল অবশ্যই সন্দেশখালি৷ শেখ শাহজাহান, মহিলাদের উপরে অত্যাচার, জমি দখল ইত্যাদি নানাবিধ অভিযোগ ঘিরে যখন কার্যত জ্বলছে তাঁর কেন্দ্র বসিরহাটের সন্দেশখালি, তখন, কার্যত মাঠে ময়দানেই দেখা যায়নি অভিনেত্রীকে৷
শুধু তাই নয়, সন্দেশখালির ঘটনার মাঝেই প্রেম দিবসের দিন প্রেমিক যশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ফোটোশ্যুট নিয়েও তীব্র সুর চড়ান বিজেপি নেতারা৷ চতুর্দিকে প্রশ্ন ওঠে, বিক্ষোভের আগুনে যাঁর সংদীয় কেন্দ্র জ্বলছে, সেখানকার সাংসদ নুসরত জাহান কই?
এরপরেও অবশ্য আত্মপক্ষ সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিবৃতি জারি করেন নুসরত৷ কিন্তু, তাতে যে বিশেষ ফল হয়নি, তৃণমূলের প্রার্থী তালিকাই তার প্রমাণ৷
বসিরহাট কেন্দ্রটি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত৷ তৃণমূলের অন্দর সূত্রের খবর, এলাকার স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না নুসরতের৷ তাছাড়া, কেন্দ্রে তাঁর গ্রহণযোগ্যতাও কমছিল৷ নিজের কেন্দ্রের মানুষের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ প্রায় ছিল না বলেই সূত্রের খবর৷
এমন পরিস্থিতিতে বসিরহাট কেন্দ্রের জন্য অনেকদিন ধরেই একটা নতুন মুখ খুঁজছিল তৃণমূল৷ শেষমেশ সেই খোঁজ এসে থামল হাজি নুরুল ইসলামে৷
এলাকার ভূমিপুত্র৷ উত্তর ২৪ পরগনার বাহেরায় জন্ম৷ বর্তমানে ছোট বারাসতের জাগুলিয়ায় বাড়ি৷ ২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট কেন্দ্র থেকেই জয়লাভ করেছিলেন নুরুল ইসলাম৷ ২০১৪ সালে জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়ে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। এরপর, ২০১৬ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন। বর্তমানে বসিরহাট জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তিনি৷ পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান৷