মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেছেন, রাজ্যের আদিবাসী সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ "সারনা" ধর্ম ও অনেকে "সারি" ধর্মকে বিশ্বাস করেন ও মেনে চলেন। এই দুই ধর্মের স্বীকৃতি রাজ্যের আদিবাসী মা-ভাই-বোনেদের দীর্ঘ দিনের দাবি৷ কিন্তু এই দাবিকে স্বীকৃতি দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার আজ পর্যন্ত কোনও ইতিবাচক ভূমিকা নেয়নি।যদিও আদিবাসী সমাজের এই ভাবাবেগকে রাজ্য সরকার সবসময় সম্মান দিয়েছে এবং এই দুই ধর্মের স্বীকৃতির বিষয়টি নিয়ে অনেক আগেই, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। একাধিকবার কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত নীরব।
advertisement
আরও পড়ুন: চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে থেকে প্রার্থী! পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির চমকপ্রদ কৌশল ঘিরে শোরগোল
রাজ্য সরকার বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। তাই গত ৬ জুলাই ২০২২ রাজ্য মন্ত্রিসভায় এই বিষয়ের উপরে রাজ্য একটি নির্দিষ্ট প্রস্তাব পাস করিয়েছে।মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, উপজাতীয় সম্প্রদায়ের একটি অংশের জন্যে "সারনা" ধর্মের স্বীকৃতির বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে৷ মন্ত্রিসভা আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রাজ্য বিধানসভার পরবর্তী অধিবেশনে এই বিষয়ের উপরে বিলও আনা হবে৷
আরও পড়ুন: সুনীলের পর মঙ্গল পান্ডে, পঞ্চায়েতের লক্ষ্যে বড় পরিকল্পনা বিজেপির! ঘুরে যাবে খেলা?
মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, রাজ্য সরকারের এই প্রয়াস নিশ্চয় ফলপ্রসূ হবে ও রাজ্যের আদিবাসীদের আশা যথা শীঘ্র পূরণ করা যাবে।রাজ্যের এই প্রচেষ্টার কথা প্রত্যেক বিধায়ককে তাঁর এলাকার আদিবাসী সমাজের মানুষের কাছে যথাযথ ভাবে তুলে ধরতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আদিবাসী এলাকায় প্রচার চালাবে তৃণমূল কংগ্রেস। আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য কী কী কাজ করা হয়েছে, ঘরে ঘরে গিয়ে তার পরিসংখ্যান তুলে ধরা হবে। সেই কাজে মন্ত্রী-বিধায়কদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।