এ ভাবে চললে, প্রশিক্ষণরত ক্যাডারদের অধিকাংশই বি এবং সি সার্টিফিকেটের পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। বি বি সিং, মুখপাত্র, পশ্চিমবঙ্গ-সিকিম ডিরেক্টরেট, এনসিসি'এর কথায়,' ১০ কোটি পাই। তিন কোটি এখনই চাই। রাজ্য মাত্র ৮০ লক্ষ দিয়েছে। বরাদ্দ টাকা না মেলায় নানান সমস্যায় পড়তে হচ্ছে'। এনসিসিতে প্রশিক্ষণের টাকা কেন্দ্র এবং রাজ্য যৌথ ভাবে দেয়। কেন্দ্র দেয় ৭৫ শতাংশ টাকা, রাজ্য ২৫ শতাংশ। এই বরাদ্দ নিয়েই এখন টানাপোড়েন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার টাকা দিচ্ছে না, এই অভিযোগ জানিয়ে সম্প্রতি এনসিসি-র ডিরেক্টর জেনারেলকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত এডিজি। নালিশ গিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকেও।
advertisement
আরও পড়ুন: টেটে 'অনুত্তীর্ণ'দের জন্য বিরাট খবর, নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের
এ নিয়ে তরজা এখনও তুঙ্গে। রাজ্যের কাছে খেলা-মেলার গুরুত্ব বেশি। তাই এনসিসির টাকা বন্ধ। রাজ্য সরকারকে দেউলিয়া বলেও কটাক্ষ করেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। শাসক দল বলছে, 'তৃণমূল কেন্দ্র টাকা দিয়েছে কিনা, সেটা দেখতে হবে। রাজ্য সরকার কখনওই চাইবে না এনসিসি বন্ধ হয়ে যাক'। রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এ ব্যাপারে আগেই জানিয়েছিলেন, চলতি বছরেও ২০ লক্ষ টাকা দিয়েছি। আগামী দিনেও টাকা দেওয়া হবে। তবে হিসেব দিতে হয়। হিসেব পেলেই টাকা দেব'। প্রসঙ্গত, এনসিসি’র সি সার্টিফিকেটে এ কিংবা বি গ্রেড থাকলে সেনায় চাকরির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার মেলে। সিডিএস পরীক্ষায় না বসেই মেলে কমিশনড সেনা অফিসার হিসেবে যোগ দেওয়ার সুযোগ। এনসিসি’র সি সার্টিফিকেট থাকলে আধাসেনায় চাকরির ক্ষেত্রেও অগ্রাধিকার মেলে। বাড়তি সুবিধা মেলে বায়ুসেনা এবং নৌসেনায় চাকরির ক্ষেত্রেও।
আরও পড়ুন: আর এক সপ্তাহের মধ্যেই ইডি-র বিরাট অভিযান, বড় পূর্বাভাস দিলীপের! তোলপাড় বাংলা
এ হেন এনসিসির বরাদ্দ বন্ধের অভিযোগ ঘিরেই এখন জোর শোরগোল। তবে শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য কিম্বা সাধারণ মানুষের স্বার্থে এই সরকারের ভূমিকা নিয়ে বারবারই সরব হয় পদ্ম শিবির। এবার সুর চড়াল এনসিসি বরাদ্দ বন্ধের অভিযোগ নিয়েও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বললেন, 'বারবারই দেখা যাচ্ছে সরকারি ক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দ করতে পারছে না এই সরকার। কারণ সরকারের ভাঁড়ার শূন্য। রাজ্য সরকার চায় পিএফআইয়ের ক্যাম্প চলুক, কিন্তু এনসিসি ক্যাম্প চালাতে তারা আগ্রহী নয়'। অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আগেই বলেছিলেন, 'এই সরকার দেউলিয়া হয়ে গেছে। কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের শুধু নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে আর সেই কেন্দ্রীয় বিভিন প্রকল্পের টাকাই খরচ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার কৃতিত্ব নিচ্ছে'।