তাই আপাতত এই অস্থায়ী ঠিকানা ঠিক করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘‘দ্রুত অস্থায়ী ঠিকানায় কাজ শুরু হয়ে যাবে।’’ সূত্রের খবর, দক্ষিণ কলকাতায় বাড়ি পছন্দ হয়েছে।
আরও পড়ুন-১০০ ছেলেকে ডেট করেও সিঙ্গলই রয়েছেন এই সুন্দরী মডেল, পাওয়া যায়নি মনের মানুষ!
সাংবাদিক বৈঠকেও স্থান সংকুলান হত না কখনও সখনও। জেলা থেকে কর্মীরা এলে থাকার জায়গা নিয়ে ভাবতে হতো। বহু জায়গায় দরকার ছিল যত্ন ও মেরামত। একুশের নির্বাচনে বড় জয়ের পর অবশেষে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করা হয় তৃণমূল ভবনের। ২০০২ সালের ২০মে বাইপাসের পাশে তৃণমূল ভবন তৈরি হয়। দল তখন ছোট ছিল, ক্ষমতাও ছিল অতি সীমিত। এখন কলেবরে দল অনেক বড় হয়েছে। টানা তিনবার জয় প্রমাণ করে দিয়েছে দলের নিচুতলা কত শক্ত। তার উপর আবার দল চাইছে জাতীয় প্রেক্ষাপটে সম্প্রসারণ। কাজেই আর পাঁচটা জাতীয় দলের মতোই চাই ঝা চকচকে হেডকোয়ার্টার।
advertisement
সূত্রের খবর, এই দিক গুলি মাথায় রেখেই পুরনো ভবন সম্প্রসারণ হবে। থাকবে প্রতিটি শাখার জন্যে আলাদা ঘর। থাকবে সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের জন্যে ঘর। জেলা থেকে আসা কর্মীদের জন্যে বসার ব্যবস্থা। থাকবে প্রেস কনফারেন্স রুম। ভার্চুয়াল বৈঠকের ব্যবস্থা। এ ছাড়া দলীয় বৈঠকের জন্যে থাকবে হল ঘর ও কনফারেন্স রুম। বানানো হবে ক্যান্টিন যেখানে দলের কর্মীরা সুলভে খাবার পাবেন। রাজনৈতিক মহলের মত, তৃণমূল ভবনের এই সম্প্রসারণের পিছনে একটি কৌশলী রাজনৈতিক বার্তাও রয়েছে। তৃণমূল খাতায় কলমে বুঝিয়ে দিতে চাইছে দল বাড়ছে। বাড়ছে সংগঠন। জেলার কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো হচ্ছে জেলার কর্মীরা এসে যাতে রাতে তৃণমূল ভবনেই থাকতে পারেন সেই জন্য চাই ব্যবস্থা। তা ছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সরকারের পাশাপাশি দলে মন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন সেই ২০১৯-এই। তার পর থেকেই সংগঠন নিয়ে গভীর ভাবে ভাবা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-অ্যাডাল্ট সাইটে স্কুলের বন্ধুকে দেখে বিপাকে পড়লেন পর্ন তারকা, তার পর?
প্রতিটি বিভাগ যাতে সমন্বয় রক্ষা করে খোলামেলা জায়গা থেকে কাজ করতে পারে, সেই কারণেই এই সম্প্রসারণের ব্যবস্থা। তা ছাড়া প্রচারে ঝাঁঝ বাড়াতেও চাই দলের হেডকোয়ার্টার। বাইপাসের ধারে অবস্থিত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও মসৃণ। সামনেই হচ্ছে মেট্রো স্টেশন। ফলে যোগাযোগ আরও সুবিধা হবে। সব দিক মাথায় রেখেই নতুন ঝাঁ চকচকে কর্পোরেট লুক দেওয়া হবে তৃণমূল ভবনকে। তার আগে আপাতত কাজ চালানোর জন্য দক্ষিণ কলকাতায় বাড়ি পছন্দ করা হয়েছে।