ছবি দিয়ে সেই হামলাকারী বিজেপি নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের তথ্য পেশ করলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা ও তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী । সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তাঁরা বলেন, ‘ত্রিপুরা এখন পরিণত হয়েছে এক সন্ত্রাসের নাট্যমঞ্চে। এখানে জঙ্গলরাজ-ই নিয়মিত ঘটনা। রাজনৈতিক হিংসা হয়ে উঠেছে শাসনের অস্ত্র।’ অভিযোগ, মঙ্গলবার আগরতলায় তৃণমূল কার্যালয়ে পরিকল্পিত হামলা চালায় বিজেপি কর্মীরা। ভাঙচুর করা হয় পার্টি অফিস। লুটপাটেরও অভিযোগ ওঠে।
advertisement
অথচ রাজ্যের পুলিশ নির্বিকার। শশী পাঁজা বলেন, ‘যা ঘটেছে, তা শুধু সামাজিক অবক্ষয় নয়, বরং বিজেপির রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার চরম দৃষ্টান্ত। বিরোধী কণ্ঠস্বর চেপে রাখতে যে আতঙ্কের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে, সেটাই চলছে ত্রিপুরায়।’ তৃণমূলের দাবি, ‘বিজেপি চায় গণতন্ত্রকে স্তব্ধ করে দিতে। একদিকে ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ বলে শ্লোগান দেয়, আর অন্যদিকে গণতন্ত্রের ভিত নষ্ট করে।’ দলের স্পষ্ট বক্তব্য— ‘তৃণমূলের কর্মীদের ভয় দেখিয়ে দমানো যাবে না। বিজেপি পার্টি অফিস জ্বালাতে পারে, পোস্টার ছিঁড়তে পারে, কিন্তু আমাদের প্রতিরোধের মনোভাব মুছে ফেলতে পারবে না।’
শশী-অরূপের স্পষ্ট বার্তা, ‘তৃণমূল কংগ্রেস গড়ে উঠেছিল স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে। গণতন্ত্র যখনই বিপন্ন হয়েছে, আমরা লড়াই করেছি। এবারও ব্যতিক্রম হবে না।’ তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী স্পষ্ট দাবি করেন, এটা বিজেপির সার্টিফায়েড লুম্পেন রাজ। কারণ আমরা আমাদের সংশাপত্র নিজেরা সেলফ অ্য়াটেস্টেট করি। বিজেপি নিজেদের লুম্পেনরাজকে নিজেরাই অ্যাটাস্টেট করেছে। কে কে করেছেন? প্রথম নাম ভিকি প্রসাদ।
নিজে দাঁড়িয়ে থেকে দায়িত্ব নিয়ে ভাঙচুর করছেন। দ্বিতীয়, একজন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত বিধায়ক আইনসভার সদস্য হন। আইনসভার সদস্যের কাজ আইন প্রণয়ন করা। আইনসভার সদস্য যখন আইন হাতে তুলে আইন ভাঙেন তখন তাঁকে বলা হয় লুম্পেন। তিনি বিশালগড় বিধানসভার বিধায়ক সুশান্ত দেব । নিজে উপস্থিত থেকে নিজে ভাঙচুর করাচ্ছেন। তৃতীয়, অসীম ভট্টাচার্য । সদর জেলা সভাপতি। ইনিও নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ভাঙচুরে মদত দিচ্ছেন।