দু'বছর করোনার কারণে অনলাইনে একুশে জুলাই পালন করা হলেও বর্তমানে করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকার কারণে এ বছর ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ দিবসের সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির কাজ চলছে জোরকদমে। ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রই হোক বা গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম কিংবা সেন্টাল পার্ক-দূর দূরান্ত থেকে আসা কর্মী সমর্থকদের জন্য সুব্যবস্থা করা হয়েছে। শুধু থাকার জন্যই নয়, কর্মী সমর্থকদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে শাসকদলের তরফে। শিবিরে শাসকদলের এক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতার কথায়, ‘‘কর্মীরাই তো আমাদের দলের সম্পদ। তাই ওদের দেখভাল করা আমাদের দায়িত্ব।’’
advertisement
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তারপর লোকসভা। তাই একুশের মঞ্চ থেকে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন, তা শোনার জন্য এখন উদগ্রীব হয়ে আছেন কর্মী সমর্থকরা । ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র-সহ অন্যান্য শিবিরগুলিতে মেডিক্যাল ক্যাম্পের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে । যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে যাতে তৎক্ষণাৎ তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া যায় সেই দিকটি মাথায় রেখেই এই ব্যবস্থা । ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে বিধায়ক তাপস রায় ও অন্যান্য নেতৃত্ব হাজির থেকে প্রতিনিয়ত তদারকি করে দেখছেন কারওর কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা ।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত কর্মী-সমর্থকদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যেহেতু করোনা ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা সামনে আসছে সেই কারণে দলের তরফ থেকে মাস্ক বিলি করে সচেতন করা হচ্ছে আগত কর্মী সমর্থকদের । তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের থাকার শিবিরগুলিতে কলকাতা পুলিশের তরফে আঁটোসাঁটো করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা । আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য প্রয়োজন হলে রাখা হয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স । বিভিন্ন ধরনের ওষুধও । দু'বছর পর যেহেতু ফের ধর্মতলায় শহিদ সমাবেশের আয়োজন তাই বিভিন্ন জেলা থেকে আগত কর্মী সমর্থকদের উৎসাহ উদ্দীপনা এখন তুঙ্গে।
আরও পড়ুন : ট্রেনের নেই স্টপেজ, বেড়েছে ভাড়া, পুরুলিয়া থেকে কলকাতায় আসার পথে সমস্যায় কর্মীরা
তৃণমূল নেতৃত্বের আশা, ‘‘ভিড়ের নিরিখে অতীতের সমস্ত রেকর্ডকে এবারের একুশ ছাপিয়ে যাবে।’’ উত্তর দিনাজপুর থেকে আসা এক কর্মী মাধব মন্ডল বললেন, ‘‘দলের আতিথেয়তায় আমরা খুশি। শুধু এখন অপেক্ষা দিদি কী বার্তা দেন, তা শোনার’’।
আরও পড়ুন : শহিদ দিবসের প্রস্তুতি চরমে, ২১ জুলাইয়ের আগে কর্মীদের পাঞ্জাবি উপহার অভিষেকের!
বাঁকুড়া পুরুলিয়ার জঙ্গলমহল থেকেও প্রচুর কর্মী সমর্থকরা ইতিমধ্যেই শহরে পা রেখেছেন। একুশের ধর্মতলার মঞ্চ থেকে ২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচন ও ২৪ এর লোকসভার ভোটের আগে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামীর কী দিশা দেন, সেদিকেই এখন নজর প্রত্যেকের।